(ময়মনসিংহ প্রতিনিধি)ঃ ময়মনসিহের ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌরসভার সাধারণ ভোটারদের আতকৃষ্ট করতে চলছে নানা আয়োজন। ভোটাররা করছে প্রার্থীদের কর্ম ফলের হিসাব তার মাঝে চলছে ভাল মন্দের হিসাব নিকাশ সাথে চলছে আলোচনা,সমালোচনা । স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় করণের মাধ্যমে সমাজে যেমন বেড়েছে হিংসা প্রতিহিংসা তমনি যোগ্য ব্যক্তির বদলে বাড়ছে অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা। ভাল যোগ্য প্রার্থীরা হারাচ্ছেন জনগণের সেবা করার সুযোগ। আর তা থেকেই বাড়ছে দলের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা। আর এভাবেই তৈরি হচ্ছে দলের ভিতর বিভক্তি। এটার মূল কারণ হচ্ছে সুবিদাভোগীদের অপরাজনৈতিকতা। এই অপরাজনৈতিকতার সাথে দলীয় প্রধানের কোন সম্পর্ক না থাকলেও তার নিম্ন পদের অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের পুষ্টপোষকতার ফল হিসাবে অযোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদ পদবীতে রেখে নিজের রাস্তা তৈরি করা। এরা তৃণমূলে যাচাই বাছাই নাকরে অযোগ্য অথবা অজনপ্রিয় ব্যক্তিদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে দলে বিভক্তির সৃষ্টি করে।
এখন আসা যাক মূল কথায় বিদ্রোহী প্রার্থী কি ? যারা দলের কাছে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে দলের আদেশের বাইরে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করে তাকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলে। আবার যারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলের ভেতর থেকে সরাসরি বা গোপনে সহায়তা করে তাদেরকে বিদ্রোহী হিসাবে গণ্য করা হয়।এখন এমন ঘটনা বাংলাদেশের সকল জেলাতেই ঘটছে। তার বিপরীতে নেই ময়মনসিহের ত্রিশালের পৌরসভা নির্বাচন।
তবে এখানে কিছুটা অন্য রকম গত পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আনিছুজ্জামান পৌরবাসীর চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধ্য হয়ে ছিলেন আর দলের কাছে হয়েছিলেন বিদ্রোহী । আর তার যোগ্যতার মাপ কাঠিতে জনগনের ভোটে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে নিজের অবস্থান জানান দেন।তার মানে ভোটররা যোগ্য ব্যক্তিকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের রাস্তা পরিস্কার করে ছিল। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলের কাছে মনোনয়ন চাননি অবার । তার কারণ বিদ্রোহীদের এবার টিকেট দেবেনা বলে দলীয় ঘোষনার পর তিনি টিকেটের চেষ্টা করেননি।
গনতান্ত্রিক দেশ আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন যে কেউ করতে পারে। কিন্তু নির্বাচনী সকল সমাবেশে মেয়র আনিছকে বিদ্রোহী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিরোধি দলের নানা বক্তব্যে এমন অভিযোগ আসছে প্রতিদিন। কথা হলো কেন মেয়র আনিছ কি একাই বিদ্রোহী আর যারা ঘটা করে বক্তব্য করে বলছেন ১৪ তারিখ নির্বাচনে আপনাদের জয় কেউ ঠেকাতে পরবেনা । যে কোন ভাবেই হউক আপনারা জয়ী হবেন। কেউ বলছেননা ১৪ তারিখ জনগণের ভোটে আপনারা জয়ী হবেন। আর এভাবে একরফা নিজেদের জয়ী ঘোষনা করায় জনমনে প্রশ্ন উঠছে নির্বাচন ফেয়ার হবে কিনা।
আর যারা এভাবে বিদ্রোহী বিদ্রোহী করে চিৎকার করছেন তারা কি বিদ্রোহী না । আসুন দেখে নেই- নবী নেওয়াজ সরকার গত উপজেলা নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আঃমতিন সরকারের পক্ষে কাজ করেছেন।বিভিন্ন প্রচার প্রচারণায় বিভিন্ন নির্বাচনী সমাবেশে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে নৌকার পরাজয়ের পথ সোগম করেছেন তিনি কি বিদ্রোহী না ?
আর এমনি প্রশ্ন মাথায় ঘোরপাক দিচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল পৌরসভার নির্বাচনের ভোটারদের মাঝে। আওয়ামীলীগ সমর্থিত ভোটার গুলোর মাঝে গুনজন সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে নৌকাকে পরাজিত করার মূলমন্ত্রে নবী নেওয়াজ সরকার সহ তার সাথে থাকা অনেকেই আজকে দলের দাবী নিয়ে সবার কাছে ভোট চেয়ে দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ছক আঁকছেন।
এ বিষয়ে নাম না প্রকাশে অনেক আওয়ামী সমর্থিত জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বললে তারা জানান, গত উপজেলা নির্বাচনে তরুন জনপ্রিয় আওয়ামীলীগের নৌকার একজন প্রার্থীকে নবী নেওয়াজ সরকার সহ অনেক সিনিয়ার নেতারা বিরোধিতা করে নৌকার ভারাডুবি নিশ্চিত করেছে । তখন কি নৌকা শেখ হাসিনার ছিলনা, বঙ্গবন্ধুর ছিলনা এখন এত মজা লাগে। উদিয়মান একজন নেতার জীবনের প্রথম ধাপেই নষ্ট করার পাশা-পাশি নৌকাকে পরাজিত করে আজ আমাদের নীতি বাক্য শিখাতে আসে।
আজ আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা নিবো। জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক নেতার অনুরোধে নবী নেওয়াজ সরকারকে নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন কিন্তু গত উপজেলা নির্বাচনের নবী নেওয়াজ সরকারের অবদান গোপন করে তার দায়ভার শুধু মেয়র আনিছের উপর ছেড়ে দিয়েছেন । এখন সবাই বিদ্রোহী আমার পছন্দে ভোট দিব।এখানে দলের কাম বাচ্ছেনা।
তাই আমাদের অন্তরে নৌকা রেখে দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন। যিনি আজ পৌরসভার নৌকার মেয়র প্রার্থী তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে নৌকা পরাজয়ে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন। আরেকজন মেয়র আনিছ তাকে এখন বিদ্রোহী বলা যায় না স্বতন্ত্র প্রার্থী ।কারণ এবার তিনি জনগণের রায় নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কোন দলের কাছে তিনি মনোনয়ন চাননি। পৌর উন্নয়নের সকল অবদান আপনার নামে উৎসর্গ করে মানুষের পাশে আস্থাভাজন হয়েছেন। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আপনার উন্নয়ন গুলো বাস্তবায়ন করে সরকারের মুখ উজ্জল করেছেন। জনগনের ভাল বাসাই যদি তিনি না পেতেন বিগত সময়ে হরে গিয়ে নিজেকে প্রশ্নের মধ্যে ফেলেদিতেন তবে তাকে অযোগ্য বলা যেত । তবে উভয়ই আওয়ামীলীগ পরিবারের এবং উভয়ই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা কাউকে অস্বীকার করি না।
তবে কথা হলো একজন গত উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর জয়ের জন্য নৌকাকে পরাজিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আরেকজন জনগনের অনুরোধ রাখতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ দু’জনেই আপনার দলের লোক। আমরা জনগন নেতা বানাই কাকে নেতা বানালে আপনার দলের ভালো হবে, আপনার আগামী দিনের উন্নয়ন গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে, কোন নেতা দ্বারা আমরা সেবা পাবো, আপনি দলের এবং দেশের একজন অভিবাবক সব মানুষের আস্থার প্রতিক। তাই আপনার শাসনকরা রাষ্ট্রের আমরা ভাগ্যবান নাগরিক।তাই নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে দিন। আমরা সাধারণ গোষ্ঠী । আমাদের উপর যাতে দলের কোন ব্যক্তি ক্ষমতা অপব্যবহার না করে। আপনার পিতার প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ত্রিশাল। এই ত্রিশাল পৌরসভায় একজন আদর্শবান নীতিবান জনপ্রতিনিধি জয়ী করে আপনাকে উপহার দিতে চাই।