মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টুঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ১২নং আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন থেকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী পরিবারের সন্তান তারুণ্যের প্রতীক তরুণ সমাজসেবক আরিফুল হক এরশাদ (এমবিএস) মাস্টার্স।
আরিফুল হক এরশাদ -এর পিতা আজিজুল হক ছিলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সহযোগিতা প্রদানকারী ব্যক্তি। ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নিঃস্বার্থ ও একনিষ্ঠ কর্মী।আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এবং বর্তমান ১২নং আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি।
আরিফুল হক এরশাদ (এমবিএস) মাস্টার্স কর্মজীবনে তিনি মানুষ গড়ার কারিগরি পেশা শিক্ষকতা করছেন ধলিয়া বহুলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে।
আরিফুল হক এরশাদ বাল্যকাল থেকেই ছিলেন পরোপকারী।মানুষের কষ্টের কথা শুনলেই ছুটে গিয়েছেন মানুষের পাশে, সাধ্য মতো করেছেন সাহায্য সহযোগিতা।আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন নিয়মিত। দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পর্যায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সাথে।
বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।তারই ধারাবাহিকতায় ছিলেন, আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক,ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিকলীগ ১২নং আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক।এবং বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ১২নং আমিরাবাড়ী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়াও তিনি উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বপরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে আগাম নির্বাচনী গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসার জন্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দেন তবে ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন হবে।
আরিফুল হক এরশাদ বলেন, করোনা মহামারির কারণে লকডাউন চলাকালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকার অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কর্মসূচি এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত এলাকাবাসীর খোঁজখবর রেখে চলেছেন । দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অংশীদার হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দীর্ঘদিনের অবহেলিত ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ডিজিটাল মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শের রাজনীতি করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাগুলো শ্রদ্ধার সাথে পালন করার চেষ্টা করছি।
চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ইচ্ছে নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করছি।এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময়সহ বাড়ি বাড়ি ঘুরে উঠান বৈঠক করতে দীর্ঘপথ ছুটে বেড়াচ্ছেন আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ও আপনাদের সেবক হিসেবে আপনাদের ভোট প্রার্থনা করছি।
আমি নির্বাচিত হলে সকলকে সাথে নিয়ে আমিরাবাড়ী ইউনিয়নকে একটি পরিকল্পিত ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব এবং সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত সমাজ ও দুর্নীতিসহ সকল অপরাধ সমাজ থেকে দূর করবো ইনশাল্লাহ।
