দেলোয়ার হোসেন:: বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানিরা প্রথমবারের মতো ইলিশ মাছের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্সিং বা জিন বিন্যাস উন্মোচন করেছেন । বাকিবির ফিশারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. সামছুল আলম ও তার সহযোগিরা মিলে দীর্ঘ ২ বছর গবেষণা করে এর সফলতা পেয়েছেন। ফলে, দেশে ইলিশ মাছের উৎপাদন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। দেশীয় ইলিশের জীবন রহস্য প্রস্তুত করণ, জিনোমিক ডাটাবেজ স্থাপন এবং মোট জিনের সংখ্যা নির্ণয় করার জন্য গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
শনিবার সকালে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন গবেষকরা। জিনোম হচ্ছে কোন জীবের পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, প্রজনন এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াসহ সকল জৈবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় জিনোম দ্বারা। ইলিশের জিনোমে ৭৬ লক্ষ ৮০ হাজার নিউক্লিওটাইড রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই জিন বিন্যাসের দ্বারা, নতুন নতুন তথ্য উন্মোচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যাবে ইলিশের টেকসই আহরণ। গবেষকরা বলেন, ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই ইলিশের পূর্ণাঙ্গ ডি-নোভো জিনোম অ্যাসেম্বলী প্রস্তুত হয়। ওই বছরের ২৫ আগষ্ট ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স আন্তর্জাতিক জিনোম ডেটাবেজ ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে’ (এনসিবিআই) জমা করা হয়।
এছাড়াও ইলিশের জিনোম বিষয়ে গবেষণালব্ধ ফলাফল ২টি আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সেও উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে, জিনোম সিকোয়েন্সিং আবিস্কারে দেশের অন্য একটি গবেষণা দল যে দাবি করেছেন, তা সঠিক নয় বলে জানান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গেলো বছর বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি মিলে ইলিশ মাছের। আর এবার এই মাছের পূর্ণাঙ্গ জিন বিন্যাসে সফলতা অর্জন করলো বাংলাদেশের বিজ্ঞানিরা।