মোঃ আনিসুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ৭নং কাতলামারি ওয়ার্ডের ক্বারী মোঃ ওয়াইজ উদ্দিনের অন্ধ পূত্র শিশু শিল্পী সায়েম সরকার।
সায়েম সরকারের অপারেশনের দায়িত্ব নিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি দানবীর ডা. মোশায়েদ রহমান মুন। ডা. মোশায়েদ রহমান মুন একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি, তার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এছাড়াও ভালুকায় তার নিজস্ব মোমেনা ডেইরী এন্ড এগ্রো ফার্ম নামে একটি প্রজেক্ট রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ফলজ বৃক্ষ, ফুলের বাগান এবং বিদেশী গরুর ফার্ম করা হয়েছে।
ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার সজিব এবং কাতলামারি বাজার মেজর আফসার উদ্দিন স্মৃতি সংসদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ খায়রুল কবিরের সহযোগিতায় অন্ধ শিশু শিল্পী সায়েম আবার চোখে দেখতে পাবেন বলে আশার বীজ বুনন করছেন। আগামী (৮ই অক্টোবর ২০১৯) ইং তারিখের মঙ্গলবার চোখের অপারেশনের জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে শিশু শিল্পী সায়েম সরকারকে। বাংলাদেশ ইসলামীয়া চক্ষু হাসপাতালে তার চক্ষু অপারেশন করা হবে এবং অপারেশনের পুরো খরচ বহন করবেন দানবীর ডা. মোশায়েদ রহমান মুন।
এর আগে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার সজিব এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান খায়রুল কবির, দানবীর ডা. মোশায়েদ রহমান মুনের কাছে অন্ধ শিশু শিল্পী সায়েম সরকারের চক্ষু অপারেশনের জন্য সহযোগীতা কামনা করলে, ডা. মোশায়েদ রহমান মুন সায়েমের চক্ষু অপারেশনের পুরো খরচ বহন করার আশ্বাস প্রদান করেন।
আর সায়েমের চক্ষু অপারেশনের মাধ্যমে দানবীর ডা. মোশায়েদ রহমান মুনের প্রতিশ্রুতি পুরণ হওয়ার পথে। দানবীর ডা. মোশায়েদ রহমান মুন ভালুকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা এবং অসহায় গরীবদের সাহায্য করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।এছাড়াও ঢাকার ধানমন্ডি সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং গরীব দুঃখী মানুষদের কে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকেন বলে জানাযায়।
অন্ধ শিশু শিল্পী সায়েম সরকার এই ‘ত্রিশাল প্রতিদিন.কম’র নিহস্ব প্রতিবেদককে তার চোখে দেখতে না পারার কষ্ট এবং আগামী দিনগুলোতে তিনি কি করতে চান, সেই বিষয়েও কথা বলেন।
সায়েম সরকার জানান, তার ইচ্চার কথা। সায়েম বলেন যদি আমি চোখের আলো ফিরে পাই তাহলে স্কুলে ভর্তি হবো পড়াশুনা করার জন্য এবং একটি একাডেমীতে ভর্তি হবো আরো ভাল ভাবে গান শেখার জন্য। পাশাপাশি গান বাজনা চালিয়ে যাবেন তার দরিদ্র পিতাকে সাহায্য করার জন্য। উল্লেখ্য অন্ধ সায়েম সরকার ভালুকা উপজেলার প্রতিটি এলাকায় গান গেয়ে থাকেন এবং সবাই তাকে অত্যাধিক ভালবাসেন এমনকি তাদের কাছ থেকে পাওয়া সামান্য অর্থ তার পরিবারের হাতে তুলে দেন এবং এভাবেই চলে তাদের সংসার।