নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় সাংবাদিক আনিস আহমেদ এর ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা চালায় বিএনপি নেতা শামসুল হক ও তার সহযোগীরা। গত বুধবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ০৪ ঘটিকার সময় তাহার নিজ এলাকায় শামসুল হক বাহিনীর হাতে এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন সাংবাদিক আনিস আহমেদ।তিনি জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকায় কাজ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ০৪ ঘটিকার সময় শামসুল হক তার বাহিনী নিয়ে (পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী) হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। তার এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হন তিনি। জানাযায়,গ্রাম্য শালিসে মাতব্বরগন শামসুল হক ও তার মামা আঃ কাদেরের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ঈদের পরদিন পর্যন্ত জমিতে চাষ না করার জন্য নির্দেশ দেন। এবং ঈদের পরদিন স্হানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাতব্বরদের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করে শামসুল হককে তার ক্রয়কৃত জমি বুঝিয়ে দিবে। আর মাতব্বর গন সাংবাদিক আনিস আহমেদকে দায়িত্ব প্রদান করে আসেন যাতে দুপক্ষের মধ্যে কোন প্রকার সংঘাত না ঘটে। আর তাই জমি চাষ করতে গেলে সংঘাত ঘটতে পারে এমন আশংকায় মিমাংসা বা জমি পরিমাপ করার পর্যন্ত যেন জমি চাষ না করে এবং সংঘর্ষ হতে না পারে তার জন্যই সাংবাদিক আনিস আহমেদকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। গত বুধবার বিকালে শামসুল হক যখন তার বাহিনী নিয়ে জমি চাষ করতে আসে তখন অপর পক্ষের লোকজন সাংবাদিক আনিস এর কাছে বিষয়টি জানান। এমতাবস্থায় সাংবাদিক আনিস তাদেরকে দাওগাঁও ইউনিয়ন কৃষক লীগ সভাপতি নাজিম উদ্দীন মাষ্টার সহ মাতব্বরগনের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানাতে বলে। এরপর নাজিম উদ্দীন মাষ্টার ও মাতব্বর গনের কাছে গিয়ে তাকে জানানোর পর তিনি বলেন আনিসকে গিয়ে বল শামসুল হককে জমিতে চাষ করা নিষেধ করতে। নাজিম উদ্দীন মাষ্টার সহ মাতব্বরগন এর কাছ থেকে ফিরে সাংবাদিক আনিসকে জানানোর পর তিনি শামসুল হককে চাষ বন্ধ করার কথা বললে শামসুল হক তার বাহিনী নিয়ে এই নৃশংস হামলা চালায়। তার হাতে থাকা কোঁদাল দিয়ে আনিস কে কোঁপ দেয় আর তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আঃ বারেক তাকে পিছন দিক থেকে ঝাপটে ধরে রাখে।এসময় সাজেদা বেগম গিয়ে শামসুল হকের কোদালের কোঁপ ফিরানোর চেষ্টা করে ততক্ষণে কোপটি তার মাথায় আঘাত করে।এরপর কোদালটি তার হাতথেকে কেঁড়ে নেয় আঃ কাদের।তার শামসুল হক তার লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ও লাঠি বের করে নিয়ে আসার সময় ছাব্বির হোসেনকে সামনে পেয়ে তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সাব্বির মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।সাংবাদিক আনিস আহমেদকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাহার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার মাথায় ৭ টি শেলাই করা হয়েছে বলে জানাযায়।
তার বড় ভাই আঃ কদ্দুস জানান তার ভাই সাংবাদিক আনিস আহমেদ আশংকাজনক অবস্হায় আছেন খুব দ্রুতই তারা মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করবেন।তিনি আরও বলেন আমরা প্রথমে থানায় যাই আনিসকে নিয়ে এবং ডিউটি অফিসার ওসি সাহেবের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে আমাদের জানান যে আগে তাকে চিকিৎসা করার তারপর থানায় এসে মামলা করতে বলেছেন ওসি সাহেব।