ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আকস্মিক ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।শতশত বসত ঘরে পানি প্রবেশের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে।একই সাথে হাজার হাজার একর জমির ফসল বিনষ্ট হওয়াসহ ত্রিশালের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফিসারীগুলো পানিতে ডুবে মৎস্য শিল্পের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে টানা বর্ষণের ফলে এমন ক্ষয়ক্ষতির কথা শুনে শুক্রবার সারাদিন পানিবন্ধী এসব এলাকার মানুষগুলোী খোজ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ।
টানা বর্ষণে উপজেলার দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে বানভাসি মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিতে গিয়ে কোথাও গাড়ি নিয়ে আবার পায়ে হেঁটে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে পানিবন্ধী মানুষের দুঃখ, দুর্দশার কথা শুনছেন তিনি।
ত্রিশালের কাঁঠাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল জানান- তার এলাকা দড়ি কাঁঠালে বেশীর আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে পড়ে। এতে ধান ক্ষেত ও মাছের ফিসারির ডুবে লক্ষলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একই সাথে তিনি দুর্গত এলাকা সমূহ পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোজ খবর নিয়ে তাদের সহযোগিতার লক্ষে ইতিমধ্যে প্রাকৃতিক দূর্যোগে জরুরী যোগাযোগের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে( ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) কন্ট্রোল রুম খোলেছেন ইউএনও জুয়েল আহমেদ। দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি এসব এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আশ্রয় নেয়া শত শত পরিবারের খোজ খবরও নিয়েছেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, ত্রিশালের প্রবীণ রাজনীতিবিধ ফজলে রাব্বি,কাঁঠাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম ছিদ্দিকী ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগে কন্ট্রোল রুম খোলেছেন যেন ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতির পরিমাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে সরকারি সহযোগিতা দেওয়া যায়।