ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজসহ টিআর,কাবিখা, কাবিটাসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের কাজ। জানা গেছে প্রকল্পের প্রথম ধাপে ইজিপিপি প্রকল্পের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ প্রকল্প তালিকা জমা দিয়ে কাজ শেষ করতে না পারায় অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের বরাদ্ধের কিছু অর্থ উপজেলা থেকে ফেরত পাঠানোও হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এতে অতিদরিদ্র মানুষগুলো প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।বঞ্চিত ঐসব মানুষগুলোই প্রায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নামে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের কর্মসুচি ইজিপিপি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর সরকারি ছুটি বাদে তারা যে কয়দিন কাজ করবে সে কয় দিনের বিল পেয়েছেন। শুধু ইজিপিপি প্রকল্পই নয়,সদর উপজেলায় টিআর,কাবিখা, কাবিটাসহ সকল প্রকল্পে স্বচ্ছতার সাথে কাজ হয়েছে এমনটি দাবী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নবাসীর।
সুত্র মতে জানা গেছে- যে পরিমাণ টাকার কাজ হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সদরের সিরতা, পরানগঞ্জ,ঘাগড়া ইউনিয়ন সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিদর্শনে গিয়ে এই সব তথ্য পাওয়া গেছে।সিরতা, পরানগঞ্জ, ঘাগড়াসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তারা তাদের ইউনিয়নে ৪০দিনের কর্মসূচির শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছে। তারা জানায়-প্রকল্প বাস্তবায়নে সঠিক তদারকির পর আমাদের ন্যায্য মুজুরী হাতে পাওয়া আমরা চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের প্রতি সন্তুষ্ট।
এ ব্যাপারে সিরতা ইউনিয়নের কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, সিরতা,পরানগঞ্জসহ চরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। বিভিন্ন এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের অনেক দরিদ্র মানুষ। এ অবস্থায় ৪০ দিন কাজ করতে পারলে হতদরিদ্রদের অনেক উপকার হতো। তবে এলাকায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে তালিকা প্রস্তুতি দেরি হওয়ায় কাজ কম হয়েছে। তবে যে কয়দিন কাজ হয়েছে কর্মসূচির কাজ চলাকালীন সময়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সফিকুল ইসলাম,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা নিয়মিত পরিদর্শন করে কাজের দেখভাল করে তাদের তদারকিতে সচ্ছতার সহিত শ্রমিকদের সেই কয়দিনের বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সিরতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতার দাবী তাদের ইউনিয়নেও উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিয়মিত ইজি পিপি কাজের শ্রমিক তালিকা ও হাজিরা যাচাই বাছাই করায় অতিদরিদ্ররা স্বচ্ছতার সহিত বিল পেয়েছেন এতে শ্রমিকরা খুশী।
যেহেতু মোবাইল সিমে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়,তাই অনেক শ্রমিক রয়েছে যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সহ তথ্যগত বিভিন্ন ভূলত্রুটি থাকার কারণে কিছু কিছু শ্রমিকদের মোবাইলের একাউন্টে টাকা পাঠায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এসব ত্রুটির কারণে বিল না পাওয়া শ্রমিকগুলো বিভিন্ন জনের কাছে নালিশ আর এসব ফর্মালিটি সম্পর্কে তারা অজ্ঞাত থাকায় ভূলবুঝাবুির কারণে গণমাধ্যম ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে।