আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ: তারাকান্দায় বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও ইউরিয়া সার,জ্বালানিসহ কৃষিপন্যের ঊর্ধ্বগতিরোধে ও মুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ।
বুধবার (২৪আগষ্ট) দুপুরে তারাকান্দা বাজারের বিভিন্ন দোকানে এই মনিটরিং করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।
এসময় মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ মোতাবেক মৎস্য খাদ্য দোকানে ৩০হাজার টাকা,পণ্য বিক্রয়ে পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করায় পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতা মূলক ব্যবহার আইন ২০১০ আইন মোতাবেক ৬হাজার টাকা,সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১২ ধারা মোতাবেক সারের দোকানে ৩হাজার সহ সর্বমোট ৩৯হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শণ না করায় একাধিক দোকানিকে মুল্যতালিকা প্রদর্শনের জন্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্য না নেয়ার আহবান জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।
এছাড়াও তিনি তেলের দোকান, মিষ্টির দোকান, কাঁচামালের দোকান, ঔষধের দোকান, ফল ও সব্জির দোকান,তেলের পাইকারি ক্রয় মুল্য কত এবং বর্তমানে বাজারে বিক্রয় মুল্য কত পরিদর্শন করে এসব যাচাই করেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি না করতে ব্যবসায়ী নেতাদের ও ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করেন এই কর্মকর্তা।
এসময় তার সাথে সহকারী কমিশনার ভূমি জিন্নাত শহিদ পিংকি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব কাওসার আহমেদ খান, মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ও তারাকান্দা থানার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে সার ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। এ প্রসঙ্গে ইউএনও মিজাবে রহমত বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ও পশুখাদ্যের গুণগত মান বজায় রাখাসহ মূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধে এবং বাজারে ইউরিয়া সার মজুদ বন্ধে ও নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত এই মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে । অসাধু ও অনৈতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হবে বলেও জানান ইউএনও মিজাবে রহমত।
এদিকে বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণে ইউএনও’র অভিযানে সন্তুষ প্রকাশ সহ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তারাকান্দা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।