আরিফ রববানী, ময়মনসিংহঃ করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ এর প্রভাবে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ময়মনসিংহে মাস্ক বিতরণ ও সপ্তাহব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ওমিক্রন বেড়ে যাওয়ায় এবং সরকারী নির্দেশনা বাস্তবানের লক্ষ্যে দুপুরে নগরীর আদালত সহ বিভিন্ন এলাকায় জেলা প্রশাসেনর পক্ষ থেকে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে মাক্স বিতরন করেন জেলা প্রশাসক মো এনামুল হক।এসময় তার সাথে ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম এডিসি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম,এডিসি আয়েশা হক,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফজলে রাব্বি,চেম্বারের সহ সভাপতি শংকর সাহা,মোটর মালিক সমিতির সহ সভাপতি মন্তাজ আলী মন্তা সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ।
আগামীকাল শুক্রবার কাল থেকে মাক্স সহ সরকারী নির্দেশনা না মানলে জরিমানা করা হবে। তাছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, সচেতনতামূলক সপ্তাহের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ বাসীকে মাস্ক পরিধান এবং ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হবে। এ সপ্তাহের পর যারা মাস্ক পরিধান করবে না তাদের উপর বিধি মোতাবেক জেল-জরিমানা আরোপসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া, মাস্ক পরিধান ও ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ গ্রহণ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে ময়মনসিংহ জেলার কোনো সরকারি-বেসরকারি দপ্তর/ প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদান করা হবে না। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। এর সংক্রমণ রোধে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এছাড়াও একই দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে ওমিক্রন প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের নিযোজিত নির্বাহী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ সাধারন মানুষকে মাস্ক পরিধানে উৎসাহিত করতে অভিযান পরিচালনা করেন। তথ্য মোতাবেক করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যরিয়েন্ট ওমিক্রম প্রতিরোধ কল্পে পাটগুদাম ব্রীজমোড়ে,বাস স্ট্যান্ড,যাত্রীবাহী বাস, টিকিট কাউন্টার সহ শম্ভুগঞ্জ বাজারে ওমিক্রন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম,( ভ্যাকসিন প্রদান সার্টিফিকেট সাথে রাখা,সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা,ট্রীপের পূর্বে এবং পরে স্প্রে করা,সিট সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা) সহ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনোরঞ্জন বর্মন।
অপরদিকে সকাল থেকে সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ জিনিয়া জামান এর নেতৃত্বে পুলিশ সহ একটি টিম করোনা ও অমিক্রন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে শহরের নানান জায়গায় সচেতন ও মাক্স ব্যাবহার করার আহবান করেন। বিভিন্ন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি এর নেতৃত্বেও এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।