ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় স্লোগান দেওয়া নিয়ে দলের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার বিকাল তিনটায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী জহিরুল হকের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, গফরগাঁওয়ের সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজ, গৌরীপুরের সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদ, নান্দাইলের সাংসদ আনোয়ারুল আবেদীন খান, হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া আসনের সাংসদ জুয়েল আরেং, ভালুকার সাংসদ কাজিম উদ্দিনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা সহ জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ৬৫ নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের জন্য মোট চারজনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং জেলার সব উপজেলা কমিটির সম্মেলনবিষয়ক তিনটি দল গঠন করার জন্য আলোচনা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, বর্ধিত সভা চলাকালে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গফরগাঁও আসনের সাংসদ ফাহমি গোলন্দাজের অনুসারী এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সমর্থক যুবলীগ নেতা মো. রচির সমর্থকদের মধ্যে স্লোগান দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় সিটি করপোরেশন ভবন এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, সভা শুরুর আগে নেতা–কর্মীরা জড়ো হলে তাঁদের মধ্যে হালকা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মুহূর্তেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান জানান, সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাইরে মৃদু উত্তেজনা হলেও কোনো ধরনের অরাজকতা হয়নি।