মোঃ কামালঃ ময়মনসিংহ মিন্টু কলেজ দিয়ে ষ্টেশনে হেঁটে যাওয়ার সময় পথচারীদের দম বন্ধ হয়ে যায় দুর্গন্ধে। আশপাশের বাসা-বাড়ীর সমস্ত বর্জ-ময়লা অপসারণের স্থান যেন এখানেই নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু এখানেই নয় ময়মনসিংহ শহরের ভিতর দিয়ে যত রেল ক্রসিং রয়েছে সব গুলোতেই বেহাল দশা। বিভাগীয় শহরটি সিটি কর্পোরেশন হলেও এখনো ময়লা বর্জনার স্তুপ পরে থাকতে দেখা যায়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের চোখ অন্ধ না বন্ধ বোঝার উপায় নেই। হাজারো মানুষের চোখের সামনে মূল্যবান সম্পদ এভাবেই নষ্ট হচ্ছে। জমে থাকা পানি আর ময়লার কারণে রেল লাইন যেমন হচ্ছে নষ্ট তেমনি বাড়ছে ঝুকি। আর তাই প্রায়ই লাইনচ্যুত হচ্ছে রেলের বগি।
তারপরও নেই তাদের কোন মাথা ব্যাথা। রেল স্টেশনের চতুরপার্শ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঁচা পায়খানা, ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে টোকাই-ছিনতাইকারীরা গড়ে তুলছে অপরাধের আস্তানা। সাথে চলছে হরদম মাদক সেবিদের আনাগুনা।
নগরীর ভিতরে সচেতনতা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে কিন্তু ভিন্ন চিত্র এখানে তাইতো মনামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘একই দেশ একই শহর ক্যান্টমেন্ট হলো পরিচ্ছন্ন আর এ বাহিরে হলো ডাস্টবিন।’ ঠিক তেমনি ময়মনসিংহের রেলষ্টেশনের আইন-শৃঙ্খলা আজ ভেঙ্গে পড়েছে।
দিন গড়াচ্ছে আরও বেশি করে ছিনতাই-অজ্ঞান পার্টি-মলম পার্টি-থাপ্পর পার্টির দাপট বেড়েই চলছে। এই থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ময়মনসিংহ সহ সারা দেশের মানুষ। এখানে ছিনতাই হয় কিন্তু ছিনতাইকারী গ্রেফতার হয় না রেলওয়ে পুলিশ নিরব।
এখানে অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে অপরাধ করে নির্ভয়ে, কোন সিন্ডিকেটের কাছে ময়মনসিংহ রেলওয়ে বন্দি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন কি! ড়কি দিয়ে চলছে দায় সাড়া কাজ। ক্যামেরা দেখে ছটকে পড়লেন রেলওয়ের মেরামত কর্মিরা। ‘চল পড়ে আসবে সাংবাদিক চলে আসছে’- এ কথা বলে চলে গেলেন কাজ ফেলে কর্মীরা। হায় হায়! সর্বনাশ! হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে এরা করছে ছেলে খেলা। তাই যদি না হতো বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ পাথর বিহীন রেল লাইন আর দুর্ঘটনা বার বার।