স্টাফ রিপোর্টার: চট্রগ্রামের হালিশহরে চাঁদা না দেওয়ায় ভাসমান হকারদের মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে হালিশহর থানার বড়পোল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। হকারদের মারধরের ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে হালিশহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্হানীয়রা জানান, মো. শামিম (২৬), রকি (২৮) ও বিপ্লব (২৭) ভাসমান হকারদের কাছে চাঁদা দাবী করলে, তারা চাঁদা দিতে রাজি হননি। চাঁদা না দেওয়ায় হকারদের মারধর করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ৩ জন হকার আহত হয় বলে জানাগেছে।
আহতরা হলেন- মো. শফি (৫০), মো. হারুন (৩২) ও মো. ফারুক (৩০)। এদিকে হামলার পর আহত হারুন ৩ জনকে অভিযুক্ত করে হালিশহর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বলে জানান ।
মারধরের স্বীকার মো. হারুন বলেন , গত (মঙ্গলবার) দুপুর ২টার দিকে বড়পোল মোড়ে প্রতিদিনের মতো দোকানে ব্যবসা করছিলাম। এ সময় হঠাৎ দুজন যুবক এসে দুইশ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মারধর শুরু করে। পরে আমাকে বাঁচাতে আশপাশের দোকানদাররা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে আহত করা হয়। এছাড়া আমার দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ২১ হাজার ৩০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শামিম প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, রকিসহ আরও কয়েকজন আজ বিকেলে চাঁদা তুলছিল বিভিন্ন ভাসমান দোকান থেকে। যারা চাঁদা দেয়নি তাদের মারধর করা হয়েছে। অভিযুক্ত মো. শামিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ধাক্কা মেরেছি, তবে মারধর করিনি।
স্থানীয়রা আরো জানায়, বড়পোল মোড়ে রাস্তা দখল করে প্রায় ৭০টির বেশি ভাসমান দোকান রয়েছে। এই ভাসমান দোকানে থানা-পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে কথিত লাইনম্যান পরিচয় দিয়ে শামিম ও রকি নামের দুই যুবক দোকানপ্রতি দুইশ টাকা করে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করছে। আর এই টাকার ভাগ পাচ্ছে কাউন্সিলর, পুলিশ ও লোকাল মাস্তানরা। তবে উক্ত ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও বিষয়টি জানেন না বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) জহির উদ্দিন বলেন, এমন ধরনের কোন অভিযোগ নিয়ে কেউ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।