খায়রুল আলম রফিক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান প্রভাব খাটিয়ে বরাদ্দ দেয়ার মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অধিকতর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আদালতে দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু। অধিকতর তদন্তের অভিযোগপত্রের অভিযুক্তরা হলেন- বাকলিয়া ডিসি রোডের বর্তমান ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহিদুল আলমের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু সহ আরো ১৯ জন। আঞ্জুমান আরা বেগম মিনু নগর আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর শহীদুল আলমের স্ত্রী।
সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়।
পত্রিকায় টেন্ডার ছাড়া, যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক। দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বাদী প্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলাটি দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন।
পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। উচ্চ আদালত ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটির কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর রিট পিটিশন সংক্রান্ত রুল খারিজ করে দিয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট। এরপর মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। আদালতের নির্দেশে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র জমা দেন।
বর্তমানে এজাহার নামীয় ২০ জন আসামি মূল বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ২০টি দোকানের পজিশন গ্রহণ করে ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধের সাথে পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে গত ২৭ জুন অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত ২২ আগস্ট চট্টগ্রাম স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।