মোঃ আনিসুর রহমানঃ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বর্তমানে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার ওসি । এই গুণী ও মেধাবী ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস যখন ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার ওসি ছিলেন সেসময় একাধিক মানবিক নিষ্ঠাবান ও সততার ওসি হিসেবে পরিচিত ছিলেন । সম্প্রতি গত ২০ আগস্ট ২০২২ সন্ধ্যায় আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে শ্রীবরদী থানার বারারচর বলিদাপাড়ায় তিন বছরের শিশু ইসমাইলের দুর্ঘটনায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একই এলাকার নুরু মিয়ার পুত্র আমিনুলের মামলা করার প্রক্রিয়াকে স্থানীয় এলাকাবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় দেখছেন। সেই সাথে ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একটি নেতিবাচক ভূমিকা দাঁড় করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন ।
ইসমাইলের মৃত্যুটা কীভাবে হয়েছে : প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসীরা জানান , বাড়ীর গোহালঘরে মশা তাড়াতে ধোয়ার জন্য আগুন দেয়। গরুর লাথি আগুনে লেগে নিমিষেই পাট খড়ির গোয়াল ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহুর্তেই সেটা বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আর ইসমাইল সবার চক্ষু আড়ালে বসত ঘরে ঘরে ঢুকে গেলে সে দগ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলে মারা যায় । এটা হলো ইসমাইলের মৃত্যু ঘটনা ।
অন্যদিকে ইসমাইলের বাবা আমিনুল ইসমাইলকে গর্ভাবস্থায় ইসমাইলের মা রত্না বেগমকে ফেলে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করতে থাকে এবং ঘটনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রায় তিন বছর পরিবারের সাথে কোন খোঁজ খবর রাখেনি কিন্তু হঠাৎ ঘটনার রাতেই আমিনুল বাড়ীতে না এসে সরাসরি শ্রীবরদী থানায় চলে যায় মামলা করতে।
থানাতেই ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস আমিনুলকে জানায় – মৃত ইসমাইলের মা অর্থ্যাৎ আমিনুলের স্ত্রী রত্না বেগমের কান্না এবং আহাজারী সহ পুত্রের জন্য মাতম আমি শুনেছি তবুও আপনি যখন বলেছেন তখন আমাকে উর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে কথা বলতে হবে । ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অপমৃত্যুর কথা এজাহারে লিখেন । এতেই আমিনুল ক্ষিপ্ত হয় এবং কিছু মামলাবাজ বাজ প্রকৃতির লোকদের সাথে আলোচনা করে যেখানে কিছু নেতিবাচক গণমাধ্যম কর্মীকেও দেখা যায় বলে জানা গেছে । উক্ত নেতিবাচক গণমাধ্যম কর্মীরা প্রথমে মামলা নেওয়ার তদবির করেন। পরবর্তীতে ওসি মামলা না নেওয়ায় তার সাথে কথোপকথনের কল রেকর্ডে তার ছবি সংযুক্ত করে অতি রঞ্জিত হেডিং ব্যবহার করে শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যুগপৎ কুৎসা ও অপ-প্রচারে লিপ্ত হয়। জানাগেছে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপপ্রচার বলবৎ রয়েছে । শুধু তাই নয় মোবাইলে একাধিক পেইজেই তার বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে যাচ্ছে । অথচ পেইজ গুলোর কমেন্ট বক্সে বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সম্পর্কে সাধারণ জনগণ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক এবং ন্যায়সংগত বলে উল্লেখ করা হচ্ছে ।
এদিকে ওসি বিপ্লবের ভাষ্য একেবারে স্পষ্ট এবং গঠন মূলক বলে প্রতীয়মান হয় । তিনি বিস্মিত হয়ে বলেন , আমি তো এমনও বলিনি যে মামলা করা যাবে না । এমনও বলিনি আমি পাওয়ার খাটিয়ে মামলা নেব না । আমি শুধু বলেছি , আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সেই নির্দেশ মতোই কাজ করেছি এবং অপমৃত্যুর মামলা করেছি । পরবর্তীতে সাংবাদিক হীরা ভাই আমাকে মুঠোফোনে কল দিলে বিষয়টা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। আর সেই কথোপকথনকে রেকর্ড করে অডিও ক্লিপে আমার ছবি সংযুক্ত করে ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় অবগত। তাই এ বিষয়ে আমার আর কি বলার থাকতে পারে।
অবাক করার মত কথা যেখানে ইসমাইলকে গর্ভাবস্থায় রেখে পিতা আমিনুল অন্যত্র বিয়ে করে৩ বছর স্ত্রী সন্তানের কোন খোঁজই নেয়নি , সেখানে ৩ বছর পর বাড়িতে এসে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিষয়টা স্থানীয় বাসীকে একদিকে ভাবনা , অন্যদিকে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান | পাশাপাশি ওসিকে কপোকাৎ করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্টো সাধারন মানুষের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেতিবাচক গণমাধ্যম কর্মীরা। আর নিজেরা (নেতিবাচক গণমাধ্যম কর্মীরা) সাধারণ মানুষের ঘৃনাভরা তিরস্কার কুড়িয়ে নিয়েছেন। সচেতন মহল মনে করেন জন্মদাতা হওয়া যায় সহজেই কিন্তু পিতা হতে হলে দায়িত্ব পালন করতে হয়।