আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ:ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় আরো ৫৫ জন ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ নতুন ঘর । মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়ে সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
সেই লক্ষ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে ময়মনসিংহের ১১উপজেলার ১১টি উপজেলায় ২৮৭ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। তার মাঝে সদর উপজেলায় ঘর পাবে ৫৫জন। এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এর আগেও সদরে ৬৫টা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান- গত ২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩২৫টা, ২০২১-২২অর্থ বছরে ৬৫+৫৫ মোট ১২০ টা উপজেলায় সর্বমোট-৪৪৫ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে সকালে ১০ টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি ময়মনসিংহ সদর ও নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে -২ এর জমি ও গৃহহস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্ধোধন করবেন । প্রতিটি গৃহ ২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত ও রেজিষ্ট্রেশন এবং জমি সহ সেমিপাকা গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির দলিল, নামজারীর খতিয়ান প্রদান করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।