ময়মনসিংহে ভয়ংকর সোর্স ভুট্টুকে গ্রেফতার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ

মোঃ নাজমুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টারঃ
মূর্তিমান আতংকের নাম পুলিশ সোর্স। যে কোন সময় যে কাউকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদে ফেলতে পারে এরা। সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করে। দাবিকৃত অর্থ না পেলে ফাঁসিয়ে দেয় মাদক বা অন্য কোন মামলায়। এরা সাধারণত পুলিশের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ায়। আর এটাই এদের সম্বল। এরা কখনও নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাজে। পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক সূত্রে এরা চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করেই চলেছে। তথ্য গোপন করার নামে এরা মাদক ব্যবসায়ীসহ দাগী অপরাধীদের সঙ্গে আঁতাতও করে। এদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ময়মনসিংহ নগরে ভুট্টু মূর্তিমান আতঙ্ক ‘সোর্স’ বলে চিন্হিত । নগরের প্রতিটি এলাকাতেই তার দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছিল। সরেজমিন তদন্ত করে এবং একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

কথিত সোর্স ভুট্টু জড়িয়ে পড়েছিল নানা অপকর্মে। শহরের একাধীক এলাকা থেকে মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, চুরিসহ একাধিক মাসোহারা তুলতো পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে। নিরহ লোক ধরে মাদকের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত টাকা নিতো। সে নিজেই শহরের রমেশসেন রোড পতিতা পল্লীতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চোলাই মদ ও নারী ব্যাবসা করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। তার পরিবারেরর মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে বলে সুত্র জানায়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতো না রহস্য জনক কারনে? এলাকায় অর্ধশত খাত থেকে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছিল। মামলা পাল্টা-মামলা, চার্জশীট ইত্যাদির নামেও তদ্বির করে এই সোর্স বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, অপরাধী শনাক্ত ও মামলা তদন্তে পুলিশকে যতটা সহযোগিতা করেন এই সোর্স, তারও বেশি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, এই সোর্স মাদকস্পটসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের সঙ্গে চলাফেরার কারণে সাধারণ মানুষও তার ভয়ে আতঙ্কে থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতি, ছিনতাই, ফুটপাত থেকে চাঁদা তুলে পুলিশের সঙ্গে ভাগবাটোয়ারা করা।

এদিকে, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুুপারের নির্দেশে ডিবি ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ দিক নির্দেশনায় এসআই আলাউদ্দিন বাদল সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ কোতোয়ালী থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে উক্ত তারিখ কোতোয়ালী থানাধীন রমেশ সেন যৌনপল্লী থেকে ১০৪০ লিটার চোলাই মদ সহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আসলাম মিয়া (৬০), মোঃ ভুট্টু মিয়া (৫০), পিতা মৃত-চান মিয়া, মোঃ আব্দুল হামিদ (৪৬), মোঃ মোস্তফা (৫৫), গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতার করায় শহরবাসীর মাঝে শস্তির নিশ্বাস দেখা গেছে। ভবিষ্যতে এই ভয়ংকর সোর্স ভুট্টু যেনো আর পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ না করতে পারে সেটার দাবী জানিয়েছে শহরের সুধী মহল।