মাসুমকে ফোনে হুমকি অতঃপর মিললো লাশ নেপথ্যে কে এই মাহফুজ

মাজহারুল ইসলাম মাসুম

জোবায়ের হোসেনঃঃ টাঙ্গাইল শহরের সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের উদ্ভিদ বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম মাসুমকে (২৪) গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ০১৬১৬-৯২৪৪৩০ নম্বর থেকে মাহফুজ নামের একজন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দেয়।

ওই ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় জিডি করেন মাসুম। এর ১০ দিন পর গত শুক্রবার রাত ১১টায় টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়া শান্তিকুঞ্জ এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার ময়মনসিংহের ত্রিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাসুমের বড়ভাই মামুন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মাসুমের ওই জিডিই প্রমাণ করে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পৌরশহরের নামাপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌঁছায় মাজহারুল ইসলাম মাসুমের লাশ। এ সময় নিহতের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। অবতারণা হয় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। মাসুম ত্রিশালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সহকর্মীদের কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর শহরের প্রেসিডেন্ট বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মাসুমকে।

জানাজার পূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মাসুমের চাচা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, মাসুমকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণ তাই প্রমাণ করে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া গতকাল রবিবার দুপুরে ত্রিশাল প্রেসক্লাবে মাসুমের মৃত্যুকে আবার হত্যাকা- দাবি করে ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বজনরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাসুম হত্যামামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল থানা থেকে ফোন করে জানানো হয়, মাসুম আত্মহত্যা করেছে। আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি লাশ মর্গে রয়েছে। উভয় হাতে ও গলায় স্কচটেপ পেচানো, ঘরের ভিতরে তার চলমান পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং তার ব্যবহৃত অ্যানড্রয়েড ফোনটি পাওয়া যায়নি। মাসুমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই মামুন বাদী হয়ে ২৭ এপ্রিল টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যামামলা করেন। মাসুমের বাবা ত্রিশাল পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের মো. তাজুল ইসলামও অভিযোগ করেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।