ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ বাংলাদেশে সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গিয়েছেন। সোমবার সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ফারুকের মেয়ে ফারিহা পাঠান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তার বাবা মারা গেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।মঙ্গলবার অভিনেতার মরদেহ ঢাকায় আনা হবে।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।দুই বছর আগে ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্তের সংক্রমন ধরা পড়লে তিনি সেখানকার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন।এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উনিশশো আটচল্লিশ সালের ১৮ই আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক।চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন ফারুক। তিনি ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে যোগ দেন।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও তিনি প্রত্যক্ষ অংশ নিয়েছেন।২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তেইশ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার রূপালি পর্দায় অভিষেক হয়।এরপর সুজন সখী, সারেং বৌ, গোলাপী এখন ট্রেনে, আবার তোরা মানুষ হ, সাহেব, আলোর মিছিল, মিয়া ভাইসহ অসংখ্য সুপার হিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন।
লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। মি. ফারুক পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী।সবশেষ তিনি গাজীপুরে অবস্থিত নিজের শিল্প প্রতিষ্ঠান ফারুক নিটিং ডাইং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।