বিশেষ প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তরুন প্রজন্মের আইকন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মাহমুদা সুলতানা মুন্নি। তিনি উপজেলার ১০ নং হবিরবাড়ী ইউনিয়নের হবিরবাড়ী গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মু্ক্তিযোদ্ধা মুরহুম মফিজুর রহমানের বড় সন্তান। বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান ছিলেন ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দুইবারের নির্বাচিত সফল কমান্ডার,ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক, বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান,ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ভালুকা উপজেলা শাখার সভাপতি এবং একজন সফল প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মাহমুদা সুলতানা মুন্নীর চাচাও বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজামুল করিম আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
মাহমুদা সুলতানা( মুন্নী) একজন শিক্ষিত, মেধাবী ,বিনয়ী,সাহসী,পরোউপকারি মানুষ হিসাবে ভালুকাবাসির অতিপরিচিত একটি মুখ।
মুন্নি তার পিতা ও চাচার আদর্শে সুযোগ্য উত্তরসূরী হিসাবে ভালুকা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে একান্ত ভাবে কাজ করার দৃঢ় মনোবল প্রকাশ করেন। মাহমুদা সুলতানা মুন্নী শিক্ষা জীবনে হবিরবাড়ী সমলা তাহের আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০৯ সালে এস,এস,সি ও মাইলষ্টোন কলেজ হতে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এইচ,এসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সহিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ১ম শ্রেনীতে ডিগ্রীলাভ করেন।
মাহমুদা সুলতানা মুন্নী তার পিতার মৃত্যু পর ভালুকার আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সব সময়।
মাহমুদা সুলতানা (মুন্নী ) বলেন, হতে চেয়েছিলাম বিসিএস ক্যাডার কিন্তু ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় বেগম রোকেয়া হলে থাকাকালীন আওয়ামী রাজনীতির ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মি ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে সংসারের হাল ধরেন এবং ভালুকার রাজনীতিক,সামাজিক বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে আছেন। আমরা ৪ ভাই বোনের মধ্যে আমি সবার বড়, আমার এক বোন ডাক্তার, আরেক বোন এবং ছোট ভাই লেখাপড়া করে। তাই সংসারের বড় হিসাবে সকল দায়িত্ব আমার উপর। সংসারের সব কাজ করতে আমি নিজেও কৃষাণী মত কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলার রাজনৈতিক সকল জতীয় প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করছি যেমনঃ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী,৭ই মার্চ,১৭ই মার্চ,২৬ শে মার্চ,২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস,১৪ ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস,১০ই ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্ত দিবস,১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে আমি ১.মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য ২.বাপার ভালুকা উপজেলার সদস্য ৩.নিরাপদ সড়ক চাই ৪.বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ভালুকা উপজেলার শাখার সদস্য। আমি গত বছরে লক-ডাউন চলাকালে ভালুকায় খেটেখাওয়া অসহায় দিনমজুর বিধবা মানুষের ঘরে খাবার সহায়তা পৌচ্ছে দিয়েছি। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবপূর্ণ এলাকায় মাস্ক, ত্রাণ বিতরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে এবং অবহেলিত নারীদের উন্নয়নে জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করি। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধে জনসচেতনমুলক বিটপুলিশিং কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করি।
সদ্য ভালুকা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ৯ নং ওয়ার্ডে দিনরাত কাজ করে নৌকাকে জয়ী করি। আমার দাবী একটাই বাবার কর্ম পরিচিতি এবং একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার মেয়ে হিসাবে আমার বাবার সাথে যারা ভালুকার রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলেন সকলেই আমার রাজনীতির পথ প্রদর্শক ও অভিভাবক, সকলকেই আমি সম্মান করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাথে সৎততার সহিত কাজ করে যেতে চাই।