নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাবার কাছে ফিরে আসতে চাওয়াটাই কাল হলো সূচির । যে মেয়েটির আজ বাবা মার আদর আর হাসি খুশি খেলাধূলায় সময় কাটানোর কথা সে এখন অতীত । মায়ের হাতে জীবন প্রদীপ নিভে গেল এই ফুটফুটে মেয়েটির।বাবার আদরে মেয়েটিকে লাশ হয়ে আসতে হলো বগুড়া থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়।
গত (২৫ ফেব্রুয়ারি)মুক্তাগাছা থানা পুলিশ মসজিদের পাশে থেকে ০৬(ছয়) বছরের অজ্ঞাত যে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছিল ২৬ ফেব্রুয়ারি লাশের পরিচয় মেলে এটা সূচির লাশ। সূচির বাবা সাইফুল ইসলাম এজাহার দায়ের করেন মুক্তাগাছা থানায় , যার মামলা নং-২০, তারিখ-২৭/০২/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। পরবর্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর হয়। ওসি (ডিবি)- শাহ কামাল আকন্দের সার্বিক তত্বাবধানে মামলাটি তদন্তকরা হয় ।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সূচির মা মোছাঃ চম্পা বেগম ( রুমা (২৬ ), সৎ বাবা জিয়ার উদ্দিনকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে (০১লা মার্চ) গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ । ভিকটিম সূচী তার বাবা সাইফুলের কাছেই থকতো এ ভাবেই বাবার আদরে ভালই ছিল সে । ঘাতক মা চম্মা ০৩(তিন) বছর আগেই স্বামী সাইফুল থেকে আলাদা হয়ে বগুড়ায় চলে যায়।মাস খানেক আগে ঘাতক মা চম্পা বেগম বগুড়া থেকে জামালপুর সূচির দাদার বাড়ি আসে এবং কাউকে কিছু না বলে তার দাদির থেকে সূচীকে নিয়ে বগুড়া চলে যায়। বাবার আদরে মেয়েটি তার মায়ের নিকট থাকতে চান নি। আর একারণে প্রায়ই মারধরের স্বিকার হতো সূচি। ঘটনার ৪/৫ দিন আগে মারধরে করতে গিয়ে সূচীর মাথায় আঘাত করলে সে অসুস্থ্ হয়ে যায় ফলে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ০১ দিনপর সূচীর মৃত্যু হয়।
এ রকম মৃত্যুতে বিচলিত হয়ে পড়ে চম্পা বেগম এবং মৃতদেহ নিয়ে পরেরদিন ময়মনসিংহ মুক্তগাছায় মসজিদের কাছে ফেলে পালিয়ে যায়। আসামী চম্পা বেগম ওরফে রুমা (২৬) কে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হাফিজ আল আসআদ ২নং আমলী আদালতে সোর্পদ করা হলে, হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।