স্টাফ রিপোর্টারঃ
ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের শুসুতি গ্রামে আঃ রশিদ বড় বিপদে আছেন। প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসী চক্র তার পিছনে লেগেছে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত মিথ্যা মামলা ও হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন আঃ রশিদ ও তার পরিবার। বেপরোয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। তার ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদের ঘোষনা দিয়েছে ভূমিদস্যু জামাল উদ্দিন নেতৃত্বাধীন একটি মহল। জমি বেদখলের প্রচেষ্টা অবিলম্বে জমি ছেড়ে না দিলে চক্রটি ভয়ষ্কর ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে ভাত খাওয়াবে।হয়েছেও তাই, এপর্যন্ত তাদের দায়ের করা মামলার সংখ্যা ০৪টি।এর মধ্যে গর্ভপাত নষ্টের অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন মহামান্য আদালত।জানাগেছে ফুলবাড়িয়া থানায় আরেক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আঃ রশিদ গংদের বিরুদ্ধে।
আঃ রশিদের পরিবার জানান,আমরা যদি আমাদের কাগজীয় ক্রয়কৃত জমি জামাল গংদের দিয়ে দেই তাহলেই কেবল সকল মামলা এবং সমস্যার সমাধান সম্ভব। অপর দিকে ২০১৩ সাল থেকে সাবেক বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়ে শালিশ দরবার হলেও প্রতিপক্ষরা তা মানতে নারাজ। গত ৩১-১০-১৯ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে সালিশ । সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাষ্টার এর সভাপতিত্বে সার্বিক আলোচনা পর্যলোচনা হয়। তাতে আঃ রশিদ এর পরিবারকে ২২ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেওয়ার সিন্ধান্ত হয়। কিন্ত জামাল উদ্দিন গং তা না মেনে বিভিন্ন হুমকি দমকি দিচ্ছে ও জমি ছেড়ে দিতে বলছে না হলে তারা ভয়ংকর সব অপকর্ম করবে ভয়ে ভয়ে আছেন। কখন কি হয়। সরেজমিনে গিয়ে আব্দুর রশিদ গং ও জামাল উদ্দিন গংদের সাথে কথা বলে জানাযায় এ সকল তথ্য। ভূমিদস্যু জামাল উদ্দিন গং এর দৌরাত্যে প্রতিমুহুর্তে শংকিত আঃ রশিদ এর পরিবার।
এবিষয়ে জানতে ১০ নং কালাদহ ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মাষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সালিশের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জামাল উদ্দিন গংদের কাছে আব্দুর রশিদ গংদের প্রাপ্য ২২ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু জামাল উদ্দিন গং তা মানতে রাজি নয়।
এমতাবস্থায় আতংকে থাকা আঃ রশিদের পরিবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।