প্রশাসনকে দুর্ণিতিমুক্ত-স্বচ্ছ,জনবান্ধব করতে ময়মনসিংহের ডিসি এনামুল

আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসনকে একটি দুর্ণীতিমুক্ত,স্বচ্ছ ও জনবান্ধব প্রশাসন হিসাবে গড়ার মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন কে একটি জনকল্যাণকর প্রশাসন হিসাবে জনগণকে উপহার দিতে কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক । ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকেই  অবহেলিত ময়মনসিংহ জেলার উন্নয়নে নিরলস কাজ করাসহ দালাল, ঘুষ, দূর্নীতি, মাদকমুক্ত মডেল জেলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। ময়মনসিংহবাসী পেয়েছেন অক্লান্ত পরিশ্রমী  এক অভিভাবককে । অসহায়, দারিদ্র, নিপিড়িত তথা সুবিধা বঞ্চিত লোকজন ময়মনসিংহে এনামুল হক এর  যোগদানে তাদের আস্থার জায়গা খুঁজে পেয়েছেন। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ডিসি এনামুল হক এ জেলায় যোগদানের দেড় বছরে  দক্ষতা ও সততার মাধ্যমে সর্বস্তরে সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার যে কোন সমস্যা বা সম্ভাবনার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথেই তিনি সেখানে ছুটে যান খোঁজ নিতে।

 বিসিএস ব্যাচ ২১ এ উত্তীর্ণ প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা ডিসি এনামুল হক এর আগে জামালপুর  জেলার ডিসি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গত ২০২১ সালের ৭মার্চ তারিখে ময়মনসিংহ জেলায় ডিসি হিসাবে যোগদান করেন।তিনি জামালপুর জেলায় থাকাকালীন যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত জনপ্রশাসনকে জনকল্যাণে পৌছে দিতে কাজ করে সুনাম অর্জন করেছিলেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,বাংলার উন্নয়নের রুপকার বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে উদ্যেশ্য নিয়ে ময়মনসিংহ কে বিভাগ বাস্তবায়ন করেছেন সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন ডিসি এনামুল হক।

 ময়মনসিংহে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি নিজেকে মানবসেবায় সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক।  জেলার যে কোনো সমস্যার সমাধানে বিদ্যুতের গতিতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। প্রতিটি এলাকায় শুরু করেছেন উন্নয়নের ছোয়া ও দুস্থ অসহায়দের সহযোগিতা। এছাড়া যেখানে অনিয়ম দেখছেন সেটাকে তিনি শক্ত হাতে দমন করছেন। নিরপেক্ষ জায়গা হিসাবে সকলে খুজে নিয়েছেন ডিসি এনামুল হককে। ময়মনসিংহের জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জেলা গড়তে নিয়েছেন জরুরী পদক্ষেপ। ময়মনসিংহ নগরীর  জলাবদ্ধতা নিরসনে ও বিভিন্ন বাজারের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে চেম্বার কমার্স ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ব্যবস্থা করেছেন। বিভিন্ন বাজারের জলাবদ্ধতা ও ময়লা-আবর্জনা নিরসনে  আহবান জানিয়েছেন। পরিবেশ সংরক্ষনের জন্যও সকলকে সচেতন করছেন। মাদক নির্মূলে মাদক বিরোধী অভিযান করার পাশাপাশি নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং জোরদার করতে সমগ্র  সিসি টিভির আওতায় আনার চেষ্টাসহ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হিসাবে মোহাম্মদ এনামুল হককে ভূমি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ময়মনসিংহের ভূমি অফিসের বিভিন্ন সমস্যা ও জটিলতা শক্ত হাতে দমন করার পাশাপাশি  শিক্ষা,স্বাস্থ্য- ভূমি অফিসের দূর্ণিতির বিরুদ্ধে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ডিসি এনামুল হক ।  ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সরকারি সস্পত্তি উদ্ধার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ময়মনসিংহের জনবান্ধব ডিসি এনামুল হক।  তিনি যোগদানের পর সরকারের খাঁস জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে দখলমুক্ত করে সরকারি জিম্মায় এনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব জমি প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমিদস্যুদের ভোগ দখলে ছিলো। ডিসির নির্দেশে সার্টিফিকেট মামলার কেস নথিগুলো রেগুলার করা হয়েছে। ভিপি আদায় বৃদ্ধির জন্য অচল নথির পুরাতন ইজারাদারকে নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন আইনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কারণে একদিকে স্বভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন সাধারন জনগন।অপরদিকে জরিমানা আদায়ের ফলে সরকারী কোষাগারে অর্থ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর সহ বিভিন্ন কাজ সঠিক ভাবে মনিটরিং করায়  কাজের মান নিয়ে জটিলতা দুর হয়েছে বলে জনসাধারন মনে করছেন। জেলা প্রশাসক এনামুল হক  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ময়মনসিংহ জেলাকে শতভাগ দুর্ণীতিমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ভূমি দস্যু,দূর্ণীতিবাজ,মাদক,সন্ত্রাস দালালদের কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবেনা। তিনি বলেন, সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করে একটি জনকল্যাণমুখী গতিশীল প্রশাসন গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের সহযোগিতায়  মময়মনসিংহ জেলা থেকে অনিয়ম, দূর্ণীতি,মাদকমুক্ত করে জেলাকে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের মডেল জেলায় রূপান্তিত করবো ইনশাল্লাহ।

এদিকে গত ১৬ জুলাই ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকচাপায় ত্রিশালের রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না আক্তার রহিমা (৩০) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (৬) মারা যায়। এসময় জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রত্নার পেট ফেটে বের হয়ে আলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া  শিশুসহ  অপর ভাই বোনের  ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে ৫লক্ষ টাকা তাদের অভিভাবকের একাউন্টে জমা রেখেছেন জেলা প্রশাসক । এই বিষয়টি নিয়ে  একটি মহল না বুঝে তাকে নিয়ে বিভ্রান্তি মূলক কথা প্রচার  করায় তাদের এমন মানসিকতায় হতাশ হয়েছেন ময়মনসিংহের সর্বস্তরের মানুষ। তবে এই শিশুর টাকা কোথায় আছে, তা মানুষককে জানানোর জন্য ফেইসবুকে পোস্ট করার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এনামুল হক জানান- ট্রাস্টি বোর্ড, বিআরটিএ তহবিল হতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পিতা মাতার নবজাতক শিশুর অভিভাবককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত ০৫ (পাচ লক্ষ) টাকার ক্রস চেক সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখায় “রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক শিশু ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব”-এ জমা আছে। এই টাকার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের প্রদত্ত টাকাও ঐ একাউন্টে জমা হচ্ছে। একাউন্ট নম্বর ৩৩২৪১০১০২৮৭২৮, সোনালী ব্যাংক,  ত্রিশাল শাখা। এই একাউন্ট পরিচালনা করছেন শিশুর অভিভাবক দাদা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ত্রিশাল। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। যৌক্তিক প্রয়োজনে শিশু ও তার পরিবারের কল্যানের জন্য এই একাউন্ট হতে খরচ করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক এনামুল হক।