পেট ফাঁপা কি খাবেন

হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা হলে গ্যাস হয়ে পেট ফেঁপে থাকে। অনেকেই দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও কোনো সুফল পান না। তারা এই সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া কিছু উপায় গ্রহণ করা দেখতে পারেন। এ সমস্যা সমাধানে কী ধরনের খাদ্য খাওয়া যেতে পারে জেনে নিন।

শসা

শসা পেট ফাঁপা কমাতে পারে। শসা ফাইবারে ভরা, যা হজম প্রক্রিয়াকে কাজ করাতে সাহায্য করে।

টমেটো

পেট ফাঁপা কমানো জন্য টমেটো খুব উপকারি। টমেটো পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ, যা শরীরে সোডিয়ামের মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে। এর ফলে পেটে পানি জমা ও পেট ফাঁপা হ্রাস পায়।

পানি

পেট এমনিতেই ফুলে আছে, তাই পানির কথা শুনে অনেকেই অবাক হন। কিন্তু সাধারণ পানি আপনার পেট ফাঁপা কমাতে ভূমিকা রাখে। পানিকে সুস্বাদু করতে এতে শসা, কমলা অথবা লেবুর টুকরো যোগ করতে পারেন।

আদা

পেট খারাপের একটি প্রাচীন প্রাকৃতিক চিকিৎসা হচ্ছে আদা। এটি সেসব খাবারের একটি যা পেট ফাঁপাও কমাতে পারে। এছাড়াও এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেট ফাঁপা দূর করতে আদার চকলেট, আদার চা এবং দইয়ে তাজা আদা দিয়ে খেতে পারেন।

কেফির ও দই

যদি দুগ্ধজাত খাবার আপনার জন্য সমস্যা না হয়, তাহলে কেফির (দুধ জাতীয় খাবার) এবং দই খেতে পারেন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা বলেন, উভয়টিতেই প্রোবায়োটিকস থাকে, যা পেট ও শরীরের জন্য ভাল এবং পেট ফাঁপা কমাতে কার্যকর। কেফির ও দই অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা হজমকে কার্যকরভাবে কাজ করাতে সাহায্য করে। ফলে গ্যাস জমা ও পেট ফাঁপা দেয়ার প্রবণতা কমে যায়।

পেঁপে

পেঁপে খেতে সুস্বাদু আবার পেট ফাঁপা কমাতেও সাহায্য করে। একটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে গ্রহণকারীদের গ্যাসীয় সমস্যা হ্রাস পায়, এছাড়া এটি পেট ফাঁপাও কমায়।

মৌরি

মৌরি পেট ফাঁপা হ্রাস করতে পারে। মৌরির বীজ অথবা মৌরি চা পেটের জন্য বেশ ভাল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মৌরি পেটে গ্যাসের পরিমান এবং পেট ফাঁপা কমাতে দারুন ভাবে কাজ করে।

পিপারমিন্ট

কোনো খাবার খাওয়ার পর হজম সহায়তার জন্য পিপারমিন্টের চা বেশ উপকারি। পিপারমিন্ট একটি থেরাপিউটিক হার্ব, যা অনেক ডাইজেস্টিভ সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে পেট ফাঁপাও আছে। পেপারমিন্ট চায়ের মধ্যে পুদিনা পাতার চা অন্যতম।