ফকরুদ্দীন আহমেদঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের গত প্রায় ১বছরের বকেয়া বেতন ভাতাদী পরিশোধ করে অন্যএক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ময়মনসিংহ জেলার গুণীজনদের একজন সফল জনপ্রতিনিধি জননেতা আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ।
এনিয়ে ৮ই মার্চ দুপুরে পৌরসভার কার্যালয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের আনন্দ উৎফুল্ল দেখা গেছে এবং কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মেয়র আনিছকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সফল মেয়র আনিছ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি সহনশীল আন্তরিকতা, তাদের পরিবার গুলো যাতে সাময়িক সমস্যায় না পড়ে সেদিকে বার বার দৃষ্টি দিয়ে এসেছেন এবং পৌরসভা উন্নয়নে সকলকে উৎসাহ যোগাতে এই বিশাল উদ্যোগ নিয়েছেন যা দেশের অনেক পৌরসভা রয়েছে তারা সহজে করতে পারে না।
এ বিষয়ে মেয়রের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা আটকিয়ে কোন প্রতিষ্ঠান উন্নতি করতে পারে না বরং ক্ষতি হয়। তাই ত্রিশাল পৌরসভায় যেদিন থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি সেইদিন থেকেই পৌরসভা উন্নয়নে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে খোঁজে নিয়েছি কর্মকর্তা কর্মচারী। আর কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের প্রানপ্রিয় প্রতিষ্ঠানে সময় মত তাদের বেতন ভাতাদী পেয়েছে বলেই সবাই একযোগে পৌরসভা উন্নয়ন কাজে সহযোগীতা করেছে তাই আজকের এই আধুনিক পৌরসভার সৃষ্টি হয়েছে।
পরে প্যানেল মেয়র-১ রাশিদুল হাসান বিপ্লবের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত পৌর নির্বাচন ও দেশের করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার দেখা দিলে সারা দেশের ন্যায় ত্রিশাল পৌরসভাও কর্মযজ্ঞ স্থবিরতা ছিল। যার কারণে প্রায় ১ বছর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন আটকে গিয়েছিল। পরে জননন্দিত মেয়র আনিছ কর্মকর্তা কর্মচারীদের সব বেতন ভাতা এক সাথে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে নির্দেশনা দিলে, আমি ও( ভারপ্রাপ্ত) পৌর সচিব সকলের সহযোগীতা কাজ করি। পরে মেয়র সকলের প্রাপ্যতা বেতন ভাতা সকলের হাতে তুলে দেন। এবিষয়ে পৌর(ভারপ্রাপ্ত) সচিব মোঃ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, একটি প্রতিষ্ঠানকে আলোকিত করতে হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে হতে হয় আলোক উজ্জল আর এই আলোক উজ্জল জনপ্রতিনিধি ত্রিশাল পৌরসভায় আছে বলেই পৌরসভায় আলো ছড়াচ্ছে। এখানে কর্মকর্তা কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক আন্তরিকতা তাই ত্রিশাল পৌরসভা অনেক পৌরসভাকে পেছনে ফেলে উন্নয়নে অন্যএক উচ্চতায় বসেছে।