ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: ময়মনসিংহের ত্রিশালের পোড়াবাড়ী বাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খিরু নদীর ওপর আশির দশকে নির্মিত হয়েছিল বেইলি ব্রিজটি। তিন যুগ পেরিয়ে যাওয়া ওই ব্রিজটি এখন আজ আর যানবাহনের ভার সইতে পারছে না। মরিচা পড়ে হামেশায় হারিয়েছে তার শক্তি। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ভারি যানবাহন চলাচলে পাটাতনের বেশ কয়েকটি গার্ডও বেঁকে গেছে। এতে প্রায়ই পাটাতন খুলে যানবাহন পড়ে নদীতে। বছর বছর মেরামতের পর জোড়াতালির ওই ব্রিজটি আজ মরন ফাঁদের রুপ ধারন করেছে। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করছে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার সাধারন মানুষ ও যানবাহন।
জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলা সদর হতে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের পোড়াবাড়ী বাজারের মধ্যদিয়ে বয়ে গেছে খিরু নদী। ওই নদীর ওপর ১৯৮২ সালে নির্মিত হয় ২৪২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের একটি বেইলি ব্রিজ। নির্মাণের ১০-১২ বছর পেরোতেই ব্রিজের অনেকগুলো পাটাতনে মরিচা ধরে। মরিচায় নষ্ট হওয়া পাটাতনসহ প্রায়ই নদীতে পড়ে যায় রিকসা, ভ্যান ও সিএনজির মত যানবাহন।
এরপর ভেঙ্গে যাওয়া পাটাতনগুলো জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই জোড়াতালি দিয়ে চালানোর ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। স্রোতশীল ওই নদী পারাপারের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের। ওই ব্রিজ দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধ থাকলেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় কয়েকশ ভারি যানবাহন চলাচল করছে।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগে ওই ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় ছিল। দু’বছর আগে ৮ লাখ টাকায় সংস্কার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে বেশ কয়েকবার মেরামত কাজ হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পোড়াবাড়ী বাজারে রয়েছে একটি কলেজ, দুটি মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্টেনসহ কয়েকটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভারি যানবাহনের সামনে-পিছনে চলাচল করছেন এই অঞ্চলের স্কুল কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে আরেকটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।
অনেক দুর্ঘটনার স্বাক্ষী এই ব্রিজ। স্থানীয় এলাকাবাসী প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষন করে দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রান পেতে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজটি ভেঙ্গে আরেকটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।