এস.এম জামাল উদ্দিন শামীম ঃ ত্রিশাল উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মামলার
ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ত্রিশাল স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে কর্মরত জেসমিন সুলতানার বেপরোয়া উৎকোচবাজিতে অতিষ্টহয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রকারের ভোগ্যপণ্য বিক্রয়কারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমাজ।
ত্রিশাল উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের বেকারী,মিষ্টান্ন ভান্ডার ও খাবারের হোটেলের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মালিকরা জানান, বছরের পর বছর বিভিন্ন দোকান থেকে নেয়া উৎকোচের টাকায় একাধিক বাড়ি গাড়ীর মালিক হয়েছেন নামে বেনামে যার তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।তাকে লাইসেন্স বাবদ নির্ধারিত সরকারী ফির পরিবর্তে অতিরিক্ত টাকার দেওয়া না হলে তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান।তারা আরও জানান সরকারি কর্মচারী হয়ে তিনি কী ভাবে ত্রিশালে এত বছর রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়,ত্রিশাল উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০০১ইং সাল থেকে অধ্যবদি দায়িত্ব প্রাপ্ত রয়েছেন স্যানেটারী ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানা।ত্রিশাল উপজেলার ভোগ্যপন্যের প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ থেকে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে।
তাদের ভাষ্যমতে- উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার,ভোগ্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে পণ্যের গুনগত মান নির্ণয় না করেই উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানা গণহারে উৎকোচের টাকা আদায় করে বলেও অভিযোগ একাধিক সূত্রের।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সরকারী ফির অতিরিক্ত টাকা দিয়ে লাইসেন্স করাটা কেমন বিচার? ভয় দেখিয়ে সরকারী ফির অতিরিক্ত নেয়া টাকা ফেরত চান ব্যাবসায়ীরা।উপজেলার সহস্রাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে আদায়কৃত অর্ধে বনে গেছেন একাদিক বেনামী বাড়ির মালিক। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিংবা প্রধানমন্ত্রির ঘোষিত দূর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রতি বদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে উৎকোচবাজী।
এ বিষয়ে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জেসমিন সুলতানার সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।