শামিম ইশতিয়াকঃ পহেলা বৈশাখ, ভালোবাসা দিবস, ঈদ, পূজা কিংবা যে কোন উৎসবে রাস্তায় হয়ত সবার চোখেই পরে একটা বিষয়, তা হলো একদল কিশোর ট্রাক বা মিনি ট্রাকে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গা দুলিয়ে নাচানাচির নামে জানান দেয় নিজেদের, এদের মাঝে একটা অংশ শার্টের বোতাম খুলে রাখে আবার একটা অংশ শার্ট খুলে হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে পরিবেশন করে সাউন্ড বক্সে হিন্দি ও ডিজে গানের সাথে এলোমেলো ডান্স।
মূলত এদের যে সকল বিষয় চোখে পরে বা রাস্তায় মানুষের বিরক্তির কারন হয় তা হলো সাউন্ডবক্সের উচ্চ স্বরে ডিজে গান, রাস্তার পাশের মানুষকে দেখে চিল্লানো, মেয়েদের দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন, আজান ও নামাজ চলাকালীন সময়ে গান বাজানো।
ত্রিশালেও বিষয়টি এখন শুরু হয়েছে ট্র্যান্ড হিসেবে, বিভিন্ন উৎসবের পাশাপাশি এই ঈদেও বিভিন্ন গ্রুপের এমন কর্মকাণ্ড ছিল চোখে পরার মত, ত্রিশালের বিভিন্ন রাস্তায় এদের উপস্থিতি বিরক্তির কারন হয়েছে পথচারী ও ব্যাবসায়ীদের কাছে, কিন্তু এর বিরুদ্ধে কথা বলেনি কেউ, কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসলেও গ্রহণ করা হয়নি উপযুক্ত কোন ব্যাবস্থা।
এ ব্যাপারে ত্রিশালের কয়েকজন সচেতন নাগরিকের সাথে কথা বললে তারা জানায় বিভিন্ন উৎসব সহ ঈদের ৭ দিন পর্যন্ত চলে এদের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়, গাড়ি থেকে অশ্লীল ডান্স, মেয়েদের কে হাত দিয়ে ইশারা, সহ নানান ভাবে এরা যে রাস্তা অতিক্রম করে সেই রাস্তাতেই প্রকাশ করে ইতরামি, যেন এদের থামানোর কেউ নেই, তাই ত্রিশালের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
এদিকে গণমাধ্যম থেকে জানা যায় বিভিন্ন এলাকায় এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গ্রহণ করা হয়েছে আইনি পদক্ষেপ, করা হয়েছে জরিমানা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে হয়েছে প্রচুর লেখালেখি যার ফলাফল অনেক এলাকায় এখন চোখে পরছেনা এমন কিশোর গ্যাং দের, কিন্তু ত্রিশালে নেই কোন ব্যাবস্থা, কারো নজরেই নেই এদের যন্ত্রণার খবর তাই ত্রিশালের সচেতন মহলের দাবি অচিরেই যেন এই কর্মকাণ্ড থামাতে গ্রহণ করা হয় উপযুক্ত ব্যবস্থা, আর যেন কারো বিরক্তির কারন না হতে পারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং।