ইমরান হাসানঃ ময়মনসিংহের ত্রিশালে গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রামপুর ইউনিয়নের কাকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কানিহারী ইউনিয়নের স্থগিত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ আগামী ৩০ ডিসেম্বর। স্থগিত কেন্দ্রের ভোটেই নির্ধারণ হবে রামপুর ও কানিহারী ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বার ও সংরক্ষিত পদ।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও কানিহারী ইউনিয়নের তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ দুটি কেন্দ্রের মধ্যে রামপুর ইউনিয়নের কাকচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট ২ হাজার ৯৮২ ভোট ও কানিহারী ইউনিয়নের তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোট ২ হাজার ২৮০ ভোট। এই দুই কেন্দ্রের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়-পরাজয় তবে অন্যান্য কেন্দ্রের ফলাফলে রামপুর ইউনিয়নে যে চার প্রার্থী সবারই জয়ের সুযোগ রয়েছে। তবে সামগ্রিক হিসেবে এগিয়ে রয়েছে চশমা প্রতীক নিয়ে আব্দুল মবিন রঞ্জু। তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৬৮৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ ভোট যা চশমা প্রতীকের চেয়ে ৩৮২ ভোট কম। ভোটের হিসেবে এর পরেই রয়েছে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শহিদুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৩০ ভোট।
যা চশমা প্রতীকের চেয়ে ১ হাজার ১৫৭ ভোট কম।এই এক কেন্দ্র বাদে ভোটের হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনিত সর্বশেষ প্রার্থী আপেল মাহমুদ। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪৫ ভোট। যা চশমা প্রতীকের চেয়ে ১ হাজার ৫৪২ ভোট কম। তবে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি এটি তাদের নিজ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের প্রায় সব ভোট তাদের প্রার্থী পাবে। এই হিসেবে তাঁরাই জয়ী হবে। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের দাবি স্থগিত কেন্দ্রে তাদের অনেক ভোট রয়েছে। আর তাদের প্রার্থী যে ভোটে এগিয়ে রয়েছে তাতে তাদের তেমন ভোটের হিসাব করার প্রয়োজন নেই। স্থগিত কেন্দ্রটি যেহেতু নৌকার প্রার্থীর নিজ কেন্দ্র, তাই সেখানে তারা কিছু বেশি ভোট পাবে। কিন্তু ভোটের যে ব্যবধান তাতে তাদের জয় লাভ করার কোনো সুযোগ নেই।
আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরাও মনে করছে তারা জয় লাভ করবে। ভোটের হিসেবে তারা মাত্র কয়েক ভোটে পিছিয়ে রয়েছে। সামগ্রিক হিসেবে এই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে কেউ কেউ নির্বাচনটি সুস্থ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।