মিয়ানমারে ঢুকতে পারছেন না জাতিসংঘের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা। শেষ মুহূর্তে রাখাইনে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির নির্ধারিত সফর স্থগিত করেছে মিয়ানমার। অন্যদিকে জাতিসংঘ নিযুক্ত মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি’কে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সম্প্র্রতি মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে তিনি আবেদন করলে সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সোমবার ইউএনএইচসিআর এর মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক বলেন, গত সপ্তাহে মিয়ানমার সফরের কথা ছিল ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির। কিন্তু রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে মূল্যায়নের ভিত্তিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এ সফর স্থগিত করেছে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের একজন কূটনীতিক একে অজুহাত হিসেবেই দেখছেন। তার মতে, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনে তাদের নিষ্পৃহ ভূমিকা আড়াল করতেই এমনটা করা হয়েছে। কূটনীতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, রাখাইনে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের বিষয়টি এ সপ্তাহের শেষের দিকে নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করবে ব্রিটেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক স্পেশাল র?্যাপোর্টিয়ার ইয়াংহি লিকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইয়াংহি লি বর্তমানে থাইল্যান্ড সফর করছেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশে আসবেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ইয়াংহি লির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মিয়ানমার। দেশটির দাবি, স্থানীয় বাসিন্দা ও এনজিওগুলো অভিযোগ করেছে যে, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তার পর্যালোচনা পক্ষপাতমূলক। এ জন্য মিয়ানমারে তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে তার বদলে অন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।