ফের মায়ানমার সীমান্তে স্থাপনা নির্মান মানছে না আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি

সীমান্তের শূন্য রেখায় স্থাপনা নির্মাণ করছে মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে তমব্রু খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে মিয়ানমার। একইসঙ্গে সীমান্তের কাছাকাছি রাখাইন রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে চলেছে দেশটি।

ফলে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। বিশেষ করে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে আটকা পড়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা। ফলে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে রাখাইনের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দাবি করে জাতিসংঘের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।

গতকাল মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেন। রাষ্ট্রদূত উ লুইন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মন্ত্রণালয়ে আসেন। তার কাছে সীমান্তে শূন্য রেখার কাছে মিয়ানমারের স্থাপনা নির্মাণের কারণ জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে নেপিদোর কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকা একটি কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, ওই স্থাপনা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূন্য রেখার ৩০০ গজের বাইরে হচ্ছে বলেই জানেন তিনি। আর সেটা কোনো পাকা স্থাপনা নয়। একই জায়গায় আগে থেকেই অস্থায়ী স্থাপনা রয়েছে। ওই অস্থায়ী স্থাপনার খুঁটিগুলো স্থায়ী করা হচ্ছে। ঢাকার উদ্বেগ তিনি নেপিদোকে অবহিত করবেন বলে জানান। এর আগে আরাকান আর্মি ও আরসা নিয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা।

এদিকে, সীমান্তের শূন্য রেখার মধ্যে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কারণ জানতে চেয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিকে চিঠি দিয়েছে বিজিবি। সোমবার বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তমব্রু খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কারণ জানতে চেয়ে বিজিপিকে চিঠি দেন।

ইত্তেফাক