ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ২০২১-২২ অর্থ বছরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ময়মনসিংহের ১৩ উপজেলার ৩য় স্থান অর্জন করেছে তারাকান্দা উপজেলা । এছাড়াও জেলায় জন্ম নিবন্ধনে ৭৮ ভাগ ও মৃত্যু নিবন্ধনে ৯১ ভাগসহ গড় ৮৪ ভাগ নিবন্ধন করা হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (৫অক্টোবর) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্যভান্ডার গড়ব’।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আহমেদ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস।
আরো উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, জেলা প্রশাসক এনামুল হকসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদান এবং গ্রহণের জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবশ্যক। যে কোন ব্যাক্তির নিবন্ধন হয়ে থাকলে তাৎক্ষণিক যেকোনো সেবা প্রদান সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহী করে তুলতে হবে। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে তথ্য ভুল না হয়। এছাড়াও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে এসে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় জনসাধারণের মাঝে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের প্রচেষ্টায় তারাকান্দা উপজেলার অর্জন করায় বিভাগীয় কমিশনার পুরস্কার তুলে দেন। তারাকান্দা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত,
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে- জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২। ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নসহ নানামূখি পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিয়মিত উপজেলা জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা করে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতায় জনসাধারণের মাঝে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের প্রচেষ্টায় তারাকান্দা উপজেলার এ অর্জন।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মাকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম পুলিশরা উপস্থিত ছিলেন।
এ অর্জনে যারা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। শ্রেষ্ঠত্বের এই সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট অর্জনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়ে তাহার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ।