ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: করোনা ভাইরাসে বিধ্বস্ত চীন। দেশটিতে একের পর এক প্রাণ যেমন ঝরছে, তেমনই শ্মশানগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা। যে উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সেখানের শ্মশানগুলোতে ২৪ ঘণ্টাই পোড়ানো হচ্ছে লাশ, ব্যস্ততা বেড়েছে সেখানকার কর্মীদেরও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, চীনে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুতে শ্মশানের কর্মীদের ব্যস্ততা বহু গুণ বেড়েছে। তারা হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত বাসা থেকে লাশ এনে শেষকৃত্যের আয়োজন করছেন। মৃতদেহের অতিরিক্ত চাপের কারণে উহানের শ্মশানগুলো ২৪ ঘণ্টাই লাশ পোড়ানো হচ্ছে।
ইয়ান নামে এক শ্মশান কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ মরদেহ সেখানে আসছে। এসব মরদেহ মূলত উহানের প্রধান তিন হাসপাতাল থেকে আনা হচ্ছে। ছোট ছোট হাসপাতাল ছাড়াও ব্যক্তিগত বাড়ি থেকেও লাশ আসছে। ইয়ান বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে আমাদের ৯০ শতাংশ কর্মক’র্তা-কর্মচারী ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। আমরা বাড়ি যেতে পারছি না। আমাদের আরও জনবল দরকার।
সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ইয়ান ও তার সহকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে মৃতদের শেষকৃত্যে স্বজনদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকের মরদেহ তাদের স্বজনদের দেখতেও দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া নেই, কল-কারখানাও সব বন্ধ। তারপরও ধোঁয়াশায় ছেয়ে আছে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর। অনেকের ধারণা, সপ্তাহখানেক ধরে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা করোনা ভাইরাসে মৃতদের মরদেহ পোড়ানোর কারণেই এই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। গতকাল বুধবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯৮৭ জন।