ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইলের লক্ষিন্দর ইউপি সচিব ও সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নব গঠিত ১৩ নং লক্ষিন্দর ইউপি সচিব জিয়াউর রহমান জিয়া, ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার নাজমুল ইসলাম জামাল, ২ নং ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল হক চাঁন মিয়া,এবং চৌকিদার রমেন এর যোগসাজসে সরকারি ভিজিডির ৩৫৫০০/( পয়ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকার চাল বিক্রি করেন মুক্তার আলীর কাছে। চাল ব্যবসায়ী মুক্তার আলী দেওপাড়া ইউনিয়ন এর সাবেক দুই দুইবারের ১নং ওয়ার্ড মাকরাই এর ইউপি সদস্য ছিলেন। মুক্তার আলী ঐ ওয়ার্ডের জহের আলীর ছেলে।
অবৈধ ভাবে ক্রয়কৃত চালের বস্তাগুলো মাসুম এবং নইওর অটোরিকশা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন এবং জনরোষে পড়েন।
এবিষয়ে মুক্তার আলী বলেন, সচিব ও দুই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে (৩০কেজির বস্তা) চাল গুলো ক্রয় করি। আমাকে চাল ক্রয়ে সহযোগিতা করেন পেঁচার আটার সুবাস।যেহেতু সরকারি চাল তাই বস্তাগুলি সরাসরি গাড়িতে নেয়া যাবেনা। চৌকিদার রমেনের বুদ্ধিতে মুরগির লেয়ারের বস্তায় ভরে নিয়ে যাই।আর সরকারি বস্তা গুলো ফেলে দেই।
লক্ষিন্দর ইউপি সচিব জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা। এগুলো সাজানো। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর সাথে আমি জড়িত নই।ইউপি সদস্যদের কাছে বারবার ফোন করে ও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লক্ষিন্দর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন,বিষয় টি মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র মূলক।এসব ঘটনা সবই নির্বাচনে পরাজিত পার্থী এসকান্দর হক এবং সাবেক চেয়ারম্যান একাব্বর আলীর।