আজ সকালে অফিসে গিয়ে আবার বাসায় ফিরছি। আমিরী ডিক্রী অনুযায়ী পঞ্চান্নোর্ধ কর্মচারীদের বাড়ী থেকে কাজ করতে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ এখন থেকে বলতে গেলে বাড়ীতে self-quarantine-এ থাকতে হবে। অফিসের সব টি-বয় ছুটিতে। কিচেন বন্ধ। আজ ফ্লাস্কে করে কাড়াক চা বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেটাও খাওয়া হলনা।
করোনা সন্ত্রাসে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। মুখোশের অন্তরালে চলে গেছে আমাদের পৃথিবী। মনে হয় আমাদের শহরগুলো দখল করে নিয়েছে ভিনগ্রহের মুখোশধারী কিছু প্রাণী।
কাতারে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েইে চলেছে। কাতার অভিমুখী সব ফ্লাইট বন্ধ। শুধু কি তাই? হেলথ সেন্টারে ডাক্তারের সাথে সব অ্যাপয়েনমেন্ট/অপারেশন বাতিল। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে প্রাইভেট সেক্টরে ২৫ বিলিয়ন ডলার ঢালছে কাতার সরকার।
সব ধরণের গনজমায়তে বন্ধ। কিন্তু কাতারের বিভিন্ন শ্রমিক ক্যাম্পে/কম্পাউন্ডে ঠাসাঠাসি করে বাস করছে হাজারো লক্ষ শ্রমিক। ওদের কি হবে?
তবে অন্যান্য দেশের মতো কাতারের সপিং সেন্টারগুলোতে এখনো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েনি। কাতারে এখন স্থানীয়ভাবে বহু ধরনের খাদ্য সামগ্রী উৎপন্ন হচ্ছে। তাই খাদ্য ঘাটতির মোকাবেলায় কাতারের সক্ষমতা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী।
বিশ্ব্যব্যাপী প্লেগ, মহামারীর কথা এতোদিন শুনেছি, পড়েছি বইয়ের পাতায়। এবার নিজেই করোনা সন্ত্রাসের জিম্মী হয়ে কাটাচ্ছি দিন। সামনে কি আসছে কে জানে?
লেখক: আব্দুল্লাহ আল মামুন। এর ফেসবুক টাইমলাইন থেকে।