ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: সিঙ্গাপুরে ৪০ জনের পরে নতুন করে আজ ৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হয়েছে, তার ভেতর একজন ৩৯ বছর বয়সের বাংলাদেশী আছে । পরিসংখ্যানের দিক থেকে, চায়নার পরেই সিংগাপুরের অবস্থান। এতদিন ইয়োলো এলার্ট দেওয়া ছিল, আজ থেকে অরেঞ্জ এলার্ট দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় রেড এলার্ট দেওয়া হতে পারে। রেড এলার্ট দিলেই চায়নাদের মতো আমরাও এক প্রকার গৃহবন্দী হয়ে যাব । থেমে যাবে আমাদের কর্ম ব্যস্ত জীবন, তার সাথে থেমে যাবে আয় রোজগারের পথ।
এছাড়া হঠাৎ করেই সিঙ্গাপুরের সাধারণ জনগণ, ফরেনিয়ার এবং বিদেশী শ্রমিকেরা খাদ্য সামগ্রী স্টক করা শুরু করে দিয়েছি । বড় বড় সপ গুলো একদম ফাঁকা হয়ে গেছে প্রায়। এভাবে কিছু দিন চলতে থাকলে খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিতে পারে দেশটিতে।
সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে প্রবেশের ক্ষেত্রে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। চিনের সবধরনের ফ্লাইট আগে থেকেই বন্ধ, এছাড়া অন্যন্য দেশের ফ্লাইট গুলোর যাত্রীদের স্ক্যানিং এবং তাপমাত্রা মেপে মেপে ইমিগ্রেশন পার করা হচ্ছে। যাদেরকেই একটু সন্দেহ হচ্ছে বা তাপমাত্রা সামান্য বেশি পাচ্ছে তাদের সরাসরি ডাক্তারি পরীক্ষা এবং অবজারভেশনে রাখা হচ্ছে।
কন্সট্রাকশন সাইট, অফিস, আদালত, এমনকি বড় বড় সপ গুলোতে ঢুকতে, প্রতিটি শ্রমিক, চাকুরিজীবী এবং ক্রেতাদেরকে তাপমাত্রা মাপক যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যাদের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বা সাধারণ জ্বর ঠান্ডা হলেও, এম্বুলেন্সে করে পুলিশ সহ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। দিনে দিনে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে। কখন কী হয় ঠিক বলা যাচ্ছে না। তাই কিছুটা হলেও চিন্তিত বা আতঙ্কে আছি সবাই।
আমাদের জন্য সবাই একটু দোয়া করবেন। সমস্ত বিপদ আপদ বালা মুসিবত বা করোনা ভাইরাস থেকে আল্লাহ যেন আমাদের রক্ষা করেন।
সিঙ্গাপুর থেকে রায়হান।