অবশেষে বাংলাদেশে এসেছে কোভ্যাক্স এর (ফাইজার) ১ লাখ ৬০০ ডোজ টিকার চালান। টিকার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে এই টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।কোভ্যাক্স এ ভেকসিনটি বিশ্বের বহুদেশে ইতি মধ্যে ব্যবহার হয়ে গেছে। ভেকসিনের চাহিদা অনুযায়ী তা সব দেশে দেয়ার কথা থাকলেও উৎপাদন অনুযায়ী তা সবাইকে দেওয়া এখন সময়ের ব্যপার।সব দেশের জন্য কোভিড টিকা নিশ্চিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে আসা এটিই প্রথম চালান। টিকার তালিকায় সব চেয়ে কার্যক্ষম এ ভেকসিনটির চাহিদা সব চেয়ে বেশি।
সোমবার (৩১ মে) রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ টিকার চালানটি পৌঁছায়। এর আগে ফ্লাইট সিডিউল পাওয়া না যাওয়ায় ফাইজারের টিকা আসতে দেরি হবে বলে রোববারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়।
তবে ফাইজারের টিকার অপচয় রোধ করার দিকে নজর রাখা অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে অধিদফতর। সবার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার মানুষকে দেওয়া হবে এ টিকা। প্রাথমিকভাবে বয়স্ক নাগরিকদের এই টিকা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
দরিদ্র দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) মাধ্যমে ফাইজারের এ টিকা আসছে। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবন রক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।