নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ছেলে নূর মোহাম্মদ ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও এলাকাবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তার বাবা ময়েজদ্দিন এখন আর গাজা বিক্রি করেনা। ময়েজদ্দিন এখন একেবারেই ভাল হয়ে গেছে তাই যেহেতু তিনি ভাল হয়েছেন কাজেই ছেলে নূরমোহাম্মদ তার বাবার জন্য ইউনিয়নবাসীর পাশাপাশি ফুলবাড়িয়া উপজেলাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি বাবা ময়েজদ্দিনের ভাল হওয়ার সুযোগটি নষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানাগেছে, ময়েজদ্দিন কাহালগাঁও এলাকায় গাজা বিক্রি করতো।কিন্তু হঠাৎ করেই ময়েজদ্দিনের ধারণা পাল্টে গেল যে, মাদক ব্যবসা আসলেই খারাপ এই উপলব্দি উপর। থেকে গাজা বেচা কেনা বন্ধ করে চায়ের দোকান দিয়ে সৎ ভাবে বেচে থাকার জন্য ব্যবসা শুরু করে। পল্লী চিকিৎসক ডাঃ আকবর আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ময়েজদ্দিন একসময় গাজা সেবন করতো কিন্তু ৬ মাস পূর্বে সে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে গাজা সেবনও বন্ধ করে দেন।এখন নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।
জানাগেছে ময়েজদ্দিন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অধ্যাবধি চা বিক্রির ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু অশুভ ছায়া পড়েছে কাহালগাঁও বাজারের চায়ের দোকানদার ময়েজদ্দিন এর উপর। যখন সে গাজা বিক্রি এবং সেবন করতো তখন মাদকসেবী এবং মাদক বিক্রেতাদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক ছিল।
আর এখন মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাটাই কি কাল হলো ময়েজদ্দিনের? এমনটাই মনে করছেন অনেকে। মাদক সিন্ডিকেটে একবার প্রবেশ করলে যেখান থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব হয়না। তাই যেহেতু মাদক ছেড়ে ময়েজদ্দিন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ব্যবস্হা করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কাহালগাঁও এলাকার সচেতন সমাজ। ময়েজদ্দিনের পুত্র নূর মোহাম্মদ প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিদের এবং এলাকাবাসীর প্রতি আকুল আবেদন জানিয়ে বলেছেন, তার বাবা ময়েজদ্দিন ভাল হয়ে গেছে তাকে স্বাভাবিক জীবন যাপন করার মত সুযোগ দিতে অনুরোধ করেন। নূর মোহাম্মদ আরও বলেন তাদের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হলো তার বাবা, আর তাই তার বাবার কিছু হলে পুরো পরিবারের উপর অন্ধকার নেমে আসবে।
যেহেতু নূর মোহাম্মদ এর বাবা মাদক ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছেন তাই তাকে তার পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।