ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানায় কর্তব্যরত পুলিশের আলোচিত এএসআই আমিনুল ইসলামকে ক্লোজ্ড করা হয়েছে। গতকাল রাতে ফুলবাড়িয়া পরিবহন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জেলা পুলিশের এসপি তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলা পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছেন।
পরিবহন শ্রমিকের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় শ্রমিকরা ফুলবাড়িয়া থানা ঘেরাও ও ময়মনসিংহ-ফুলবাড়িয়া রোড অবরোধ করে রাখে ২৬ নভেম্বর সন্ধা ৭-৮ টা পর্যন্ত। পরে এডিশনাল এসপি আলামিনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।
গত ২৫ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাতে ফুলবাড়িয়া থানার এএসআই আমিনুল ইসলামের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। তিনি ফুলবাড়িয়া কে আউ ফাজিল মাদ্রাসা রোডে সেলিম মাষ্টারের বাসায় ভাড়া থাকেন। ঐ রোডেই ভোর রাত পর্যন্ত আ:কুদ্দুস ডিলারের গোডাউনে বিস্কুট নামান বিসমিল্লাহ কার্গো সার্ভিস নামে একটি ক্যাভার্ডভ্যান। ভ্যানটির চালক মালামাল নামিয়ে ত্রিশাল পর্যন্ত চলে আসে।
এএসআই আমিনুল ভ্যানটিকে সন্দেহজনক ভাবে ত্রিশাল থানার সহযোগিতায় আটক করে ফুলবাড়িয়ায় তার বাসায় নিয়ে আসে। ভ্যানটির চালক রফিকুল ইসলাম (৪০) কে এএসআই তার বাসায় নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এ খবর শ্রমিকরা শুনতে পেরে থানা ঘেরাও করে। এএসআই আমিনুল দীর্ঘ দিন ভালুকা মডেল থানায় রাইটার হিসাবে কাজ করার পর ২০১৭ সালে তিনি পদোন্নতি পেয়ে এএসআই পদে কাজ শুরু করেন।
ভালুকা ২ বছরে চাকরিতে থাকাকালীন সে সাধারন মানুষকে হয়রানি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ভালুকা দায়িত্ব পালনের সময় গাড়ি বাড়ি সহ জায়গার মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সিন্ডিকেট করে দীর্ঘ দিন তিনি এর সুফল পেয়ে রাতারাতি আলাদিনের চেরাগ পান বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
এ ঘটনার বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, এএসআই আমিনুল ভালুকায় চাকরি করেছে তার সেখানে বাড়ি গাড়ি আছে কিন্তু সে অন্য টাইপের লোক। এসপি সাহেব ওনাকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়েছেন তার ব্যাপারে তদন্ত চালানো হচ্ছে।