এস এম ফজলে রশিদঃঃ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল,ভালুকা ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত সুবিশাল সানকীভাঙ্গা বাজার। সানকিভাঙ্গা গ্রামের নামেই বাজারের নাম করণ করা হয়েছে।
বহুকাল থেকে এ গ্রামে কঠোর ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্থা বিদ্ধমান থাকলেও সম্প্রতি প্রভাবশালী পরিবারের কিছু সংখ্যক বিপদগামী যুবক ও মধ্য বয়সী লোক মাদক সেবন ও ব্যবসায় নিদারুনভাবে ঝুকে পড়েছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার সার্থে উঠতি বয়সী স্কুল কলেজ পড়োয়া ছাত্রদের মাদক সেবনে উৎসাহিত করে তুলছে।
এতে করে বাজারে বেড়ে গেছে চুরি, পরিবার থেকে পরিবারে সৃষ্টি হচ্ছে নানা অশান্তির। তুর ছেলে আমার ছেলেকে নষ্ট করছে, আমার ছেলেকে তুর ছেলে নষ্ট করেছে এমনটাই তর্কে বিতর্কে জড়িয়ে একে অপরের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা ঝগড়া কলহ। এলাকার দু’একজন মাদকের প্রতিবাদ করলে,মাদকসেবীরা পেন্টের চেইন বা লুঙ্গী উচিয়ে নগ্নতা প্রদর্শণ করে নানা হুমকি ধমকি দিয়ে অসদাচরণ করে থাকে। গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক পুত্র বাজারের ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দীন মাদকসেবী চাদাবাজ দালালদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাদকসেবীরা এ সাংবাদিক পুত্রকে তার ব্যবসার ক্ষতি সাধনসহ নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।
তথ্য রয়েছে মাদক সেবীরা দ্রুত জুয়া ও দেহব্যবসার সাথেও জড়িয়ে পড়ছে। প্রায় প্রতি রাতেই সানকীভাঙ্গা বাজারের আশপাশ ঝুপে জঙ্গলে অন্যত্র এলাকা থেকে পতিতা এনে দেহব্যবসা করানো হচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে আসা সানকীভাঙ্গা বাজারের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী রাস্তা ঘাটে কোন প্রকার টহল পুলিশ না থাকায় মাদকসেবীরা মাদক সেবনের পাশাপাশি অবাধে মাদক সরবরাহ করে দেদারচে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মাদকসেবীরা মাদক সেবন করে সন্ধার পর বাজারে নানা অঙ্গ- ভঙ্গি করে নিজেদের প্রভাশালী পরিবারের বাহাদুরপুএ জাহির করে থাকে,যাতে কেউ ভয়ে তাদের কিছু বলতে না পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন স্কুলশিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানায়, সানকীভাঙ্গা বাজারে ও তার আশে- পাশের স্কুল মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রীদের বাড়তি পাঠদানের জন্য সান্ধকালীন পাঠদান ব্যবস্থা চালু রয়েছে। তাই ছাত্রীদের রাত ৮/৯ টার সময় নেশায় লোড হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা মাদক সেবীদের সামন দিয়ে সদা আতংকে বাড়ি ফিরতে হয় এই ভয়ে কখন কি ঘটে যায়।
তিনি আরও জানান, মাদকসেবীদের মাধ্যমে মাদক ও দেহব্যবসার ব্যপ্তি বিস্তার এতটাই রূপ লাভ করেছে যা দমনে মাদকসেবীদের মৃত্যু কামনা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ খোলা নেই। স্কুল শিক্ষক দীর্ঘশ্বাস বিগলিত কন্ঠে বলেন, আমাদের সময় থেকে দেখে আসছি সানকীভাঙ্গা গ্রামের ধর্মীয় গাম্ভির্য্যমাখা শান্তিময় স্বর্গীয় সমাজ ব্যবস্থা।
কিন্তু আজ এসব কি হচ্ছে ? সেই সানকীভাঙ্গার সভ্য সমাজ ব্যবস্থার এই হাল করে ছাড়ছে যারা তারাকি পূর্ব সভ্য সমাজ ব্যবস্থার ধারক, বাহক বা পুরদাদের উত্তরসুরি ? যদি তাই না হবে তাহলে নিরব কেন ?