নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নামাপাড়া এলাকার মৃত তৈয়াব আলীর অবিবাহিত বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে ছদ্মনাম বেলি আক্তার (২৫) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা! কেউ নিতে চাচ্ছে না এর দায়।
এলাকাবাসী ও প্রতিবন্ধীর পারিবারারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী বেলি আক্তার গরীব পরিবারের সন্তান, বাবার মৃত্যুর পর পেটের দায়ে সে অন্যজনের বাসায় কাজ করে দিনাতিপাত করছিলেন। বিধবা মায়ের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েটিই ছিল রুজি রোজগারের এক মাত্র ভরসা। অার এই প্রতিবন্ধী মেয়েটিও রক্ষা পেলোনানা কোন এক নারী লোভী হায়েনার হাত থেকে। মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করেছে কেউ না কেহো। মেয়েটি কিছু বলতে না পারায় এখনো রয়েগেছে ধর্ষক অদৃশ্য ।
মেয়েটির অন্তঃসত্ত্বার ব্যাপারটি দীর্ঘদিন গোপনেই চলছিল, হঠাৎ মেয়েটি অসুস্থ হলে গ্রাম্য ডাক্তার রোগ সরাতে না পারলে, মেয়ের মা ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বিজ্ঞ ডাক্তার মেয়ের রোগ সরাতে নানা ধরনের পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে মাকে খুশির সংবাদটি জানান যে, আপনার মেয়ের পেটে নতুন অতিথি, মেয়েটির মা খুশির বদলে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলেন। ডাক্তার বুঝতে পারলো ঘটনা। বর্তমানে প্রতিবন্ধী মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মা অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে এসে সবাইকে অবগত করলেন এক পর্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ গ্রাম্য সালিশ বসলে প্রতিবন্ধী মেয়েটি ইশারা- ইঙ্গিতে কিছু জানালে”ও কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না মেয়েটির পেটে থাকা সন্তানটির।
মেয়ের চাচা তোতা মিয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, মেয়ের দেওয়া জবানবন্দি অনুসারে থানায় একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে।