নেত্রকোনায় দীর্ঘ দুর্ভোগের পর মসজিদে যেতে বাঁশের সাঁকো


নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় দীর্ঘ দুর্ভোগের পর মসজিদে যেতে বাঁশের সাঁকো বানিয়েছেন মুসল্লিরা। ফলে মসজিদে যেতে এখন আর কাউকে কাদা-পানিতে নামতে হবে না। কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের মাছিম কাকৈড়া গ্রামের এ মসজিদে অন্তত পঞ্চাশটি পরিবারের মানুষ নামাজ আদায় করেন। এখন থেকে ওইসব পরিবারের প্রত্যেক মুসল্লি অনায়াসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকেই মসজিদে ঢুকতে পারবেন।

শুক্রবার মাছিম কাকৈড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল হাই মন্ডল, মমতাজ আকন্দ ও আব্দুল বারেকসহ কয়েকজন মুসল্লি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তারা বলেন, সময়ের ব্যবধানে কত জনপ্রতিনিধি বদল হলো, কিন্তু কেউ এই গ্রামের মসজিদ ও মুসল্লিদের দুর্ভোগের দিকে নজর দেননি। উপায়ন্তর না পেয়ে শেষপর্যন্ত গ্রামবাসী মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে, বাঁশ এনে সাঁকো তৈরি করছি। অর্ধশত বছর হয়ে গেছে তারপরও কোনো জনপ্রতিনিধি সুনজর দেননি মসজিদটির দিকে।

দিনের পর দিন সড়কে বসে পথচারী বা পরিবহনের যাত্রীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে মসজিদটির বর্তমানে কিছু অংশ হাফ বিল্ডিং করা হয়েছে। চলমান রয়েছে নির্মাণ কাজ। অর্থনৈতিক সাপোর্ট না থাকায় এখনও মসজিদের সত্তর ভাগ কাজ সম্পন্ন করা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সলিম মন্ডল ও মমতাজ আকন্দ জানান, পনের দিন ধরে গ্রামবাসী যার যখন যেভাবে সময় হচ্ছে সাঁকো বানানোর কাজ করছেন। সাঁকো নির্মাণ শেষ হতে আরও কয়েকদিন লাগতে পারে। আর বৃষ্টির কারণে মাটির সড়কটি তৈরি করতেও সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা সুদৃষ্টি দিলে তবেই গ্রামবাসী সাঁকো আর কাদামাখা সড়ক ছেড়ে ভালো সড়ক দিয়ে মসজিদে ঢুকতে পারবে।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. নুরুদ্দিন বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। প্রত্যেকেই আমরা সব সময় পরিষ্কার থাকতে চাই। আর মসজিদে নামাজে যাওয়ার আগে তো পরিচ্ছন্নতা আরও বেশি রক্ষা করা হয়। এখন মসজিদে যেতে যদি কাউকে কাদায় মাখামাখি হতে হয় তবে সেই ব্যক্তির মনের অবস্থাটা কি হয় তা প্রত্যেকেরই জানা। জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি মসজিদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুবেল ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে দুই পাশে পানি জমে থাকায় সেখানে রাস্তা নির্মাণ করা যাচ্ছে না। পানি সরে গেলে রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া হবে।ময়মনসিংহ প্রতিদিন