তিন মাসেরও বেশি সময় পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খালেদা জিয়া।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানে বাসভবনের দিকে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, দেহরক্ষী মাসুদ রানা ও গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের কর্মচারী জসিম।
এর আগে লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ১৫ মিনিট) খালেদা জিয়াকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিমানটি (ইকে-৫৮৬) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে ছাড়ে।
বিমানে ওঠার আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। ভিআইপি টার্মিনাল থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এই বক্তব্য দেন তিনি। নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে দলীয়প্রধানের বক্তব্য শোনেন।
পরে দুবাই থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এমন একসময়ে দেশে ফিরছেন, যখন তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত ৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন বেগম। এ ছাড়া ১২ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকায় দুটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মানহানির মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান এ দুটি পরোয়ানা জারি করেন।
বিএনপি মনে করে, রাজনৈতিক কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৫ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। বড় ছেলে ও দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করছেন।