ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ময়মনসিংহ-০৭ ত্রিশাল আসনে আ.লীগের প্রায় দুই ডজন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল। তফসীল ঘোষণার পর সংসদ নির্বাচনে জনমতে কে আছে এগিয়ে, কে পাবে নৌকার মনোনয়ন, এ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল, উঠেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।কিন্তু আজ অবসন হলো প্রতিক্ষার নৌকার মাঝি আবারো হলেন হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। তবে তেমন কোন আলোরণ নেই ত্রিশালের মানুষের মাঝে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা যখন তুঙ্গে, ঠিক এই মূহর্তে এলাকার হাট-বাজারসহ সর্বত্র পোস্টার সাটানো দেখে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানান বিশ্লেষণ। বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলো এখনো জাতীয় রাজনীতি নিয়েই ভাবনায় আছেন।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তেমন তোড়জোড় নেই। তবে তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়।
সূত্র মতে, ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসন মূলত নৌকার ঘাঁটি। স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পাঁচবার, বিএনপি তিনবার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান এ আসনের এমপি হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।এ নিয়ে রহুল আমীন মাদানী ২য় বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিবেচনায় এবারও দলীয় মনোনয়ন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তার নেতাকর্মীরা, তবে তিনি মাঠে সক্রিয় হয়েও অনেকটাই লোক ছাড়া অবস্থা।
দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক মাঠ ও সামাজিক কর্মকান্ডের পরেও দলের ভিতর এত জনের মনোনয়ন কেনায় জনমনে নানা প্রশ্ন। নিউজে মূল কথায় আসি – ত্রিশালের মূল রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে অনেক আগেই শুধু দেখার অপেক্ষায় ছিল । তা এখন আর দূরে নয় ত্রিশাল আওয়ামী লীগ বিভক্তির নানা গুন্জন শুনা গেলেও কর্ণপাত করেনি কেন্দ্রীয় নেতারা । তারই প্রতিফলন ঘটবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে । এত মনোনয়ন প্রতাশী থাকার পর বোঝার মনে হয় প্রয়োজন ছিল সবাই পরিবর্তন চায়। কি হলো তার বিপরীত ।
তবে নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য দলের একটি নয় দুটি নয় অনেক গুলো অংশই প্রকাশ্যেই মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে একজন বর্ষীয়ান নেতা ভাষ্য- এক জমিতে বার বার ফসল হয় যদি তা সঠিক পরিচর্যা করা হয় । উনি তা করেন নি তাই সবার ইচ্ছা পরিবর্তনের। তারই প্রতিফলন দেখবে ত্রিশাল বাসী। মনোনয়নের প্রতিযোগিতার সঙ্গে বাড়ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল, দলাদলি।দলটির বিভক্তি এখন দৃশ্যমান। ফলে নেতাকর্মীরা বিব্রত ও হতাশ।
ত্রিশাল পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং বাজিমাতের কৌশল আর মনোবল নিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে শতভাগ বিজয়ীর মনোবল নিয়ে মাঠে থাকবেন তিন। মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী ছিলেন কিন্তু তার সাথে যা হয় বরাবরের মত এবারো তাই। মানতে নারাজ পৌর সহ উপজেলার ভোটাররা নিতে হলো সতন্ত্র মনোনয়ন। হেরে যাওয়ার পাত্র তিনি নন কখনো ছিলেননা। টানা তিন বারের জনপ্রিয় মেয়র আনিছ হয়ে পৌর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে আশ্বস্ত করে চষে বেরিয়েছেন সারা উপজেলা। দলকে শক্তিশালী ও সুংগঠিত করতে তৃণমূল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। দলের হাইকমান্ডের বিবেচনায় তিনি থাকুক আর না থাকুক আল্লাহর উপর ভরসা আর মানুষের ভালোবাসার সংমিশ্রন ঘটাবেন এটাই আশা করছে সবাই ।
তবে ত্রিশালে মার্কার নির্বাচন বাদে ব্যক্তি নির্বাচনটা বেশী প্রাধান্য পাবে।