ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কালির বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্কুল এন্ড কলেজের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল তথ্য দিয়ে কালির বাজার এলাকায় এক নাটকীয় ও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করার অভিযোগে কাঠাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ত্রিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপ-সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ফজলে রাব্বী।
তিনি বলেন, কাঁঠাল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ভোগদখলকৃত .৭৭ একর কৃষি জমি সংক্রান্ত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে কালির বাজার এলাকায় এক নাটকীয় ও সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫৩ বছর আগে জনৈক যোগেশ চন্দ্র গংদের কাছ থেকে সাফকাওলা দলিলমূলে ৭৭ শতাংশ কৃষি জমি ক্রয় করে কালির বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভোগদখলে থাকাসত্ত্বেও হিন্দুর জমি উল্লেখ করে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়ে যায়। ভিপি তালিকাভুক্তির পর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারের কাছ থেকে লীজ নেয়। তবে ওই ব্যক্তি সেই জমিতে কখনও কোনোদিন চাষাবাদ বা ভোগদখলে যায়নি।
অভিযোগে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। ৯ বছর মামলা চলার পর ২০২৩ সালের ২২ জুন স্কুলের পক্ষে রায় প্রদান করেন আদালত।
এসময় কালির বাজার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।