নিজস্ব প্রতিবেদক- ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার জনপ্রিয় এবং তিন তিনবারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও লুটপাটের কথা উল্লেখ করে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশ করে তার কোন ভিত্তি নেই।
প্রতিহিংসা এবং নিজের স্বার্থচরিতার্থ করার জন্যই অর্থের বিনিময়ে এমন বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশ করে। শুধু সংবাদ প্রকাশ করেই শান্ত হয়নি সংবাদের কাটিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে নিজের হীনমন্নতার পরিচয় দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধির সম্মান নষ্ট করার পায়তারা করছে। যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বহিস্কৃত কাউন্সিলর মামুনকে তার মেয়াদ থাকা সত্যেও মন্ত্রণালয় যে কারণে বহিস্কার করেনঃ-
# মেয়র আনিছ সরকারি সফরে ইউরোপে থাকা কালে সৌদি আরব থেকে আসা পৌরসভার জন্য ৪০টি দুম্বা সে নিজে তুলে বাজারে বিক্রি করার অবিযোগ উঠে তার নামে।
# তার পিতার ৩ একর জমি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে কৌশলে সেই জমি নিজের নামে খারিজ করে দখলের চেষ্টা করলে ভূক্তভোগীরা তার বিরোদ্ধে অভিযোগ আনেন।
#পৌরসভার সচিব সহ অন্যান্য কাউন্সিলরের সাথে খারাপ আচরণ করায় তৎকালীন সময় জেলা প্রশাসক ও ইউএন ও বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা প্রমানিত হলে তাকে মন্ত্রণালয় বহিস্কার করেন। সেই বহিস্কারের জের ধরেই মেয়র আনিছের বিরোদ্ধে উঠে পড়ে লেগে আছে এই বহিস্কৃত মামুন।
যার ফেইসবুক থেকে এমন জগণ্য নিউজটি শেয়ার বা প্রকাশ করা হচ্ছে তিনি এটাই প্রথম বার করেননি।এর আগে অনেক বার নানা ভাবে তার অযোগ্যতার পরিচয় দিয়ে মেয়রের নামে নানা রকম সম্মান হানি কারক কথা ও পোষ্ট শেয়ার করে জনগণের রোষানলে পতিত হয়েছেন। বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিতে পৌরবাসি এমন সংবাদ প্রকাশ করায় রীতিমত জৈনক মামুনের প্রতি বিরক্ত। এবং এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ প্রকাশ করছে।
উল্লেখ্য- ১২এপ্রিল ত্রিশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক বহিষ্কৃত কাউন্সিলর মামুন অর রশিদ তার ফেইজবুক পোষ্টে পত্রিকার কাটিং প্রকাশের পাশা-পাশি উল্লেখ্য করেছেন যে,”ভূমিদশ্য, লুটপাটকারী জুলুমবাজের বিচার হবেই হবে”। এই পোষ্টে ত্রিশালের ৩ বারের নির্বাচিত মেয়র ও ২ বারের উপজেলা যুবলীগের নির্বাচিত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জনমত ও ইমেজ নষ্ট করতে ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করতে এই বহিষ্কৃত কাউন্সিলর অন্যকোন দলের কিম্বা প্রতিপক্ষ কোন নেতার যোগসাজশে তার ইচ্ছেমত একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির সম্মান নষ্ট করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা করে আসছে।
মেয়র যখন উমরাহ করার জন্য পবিত্র মক্কা নগরীতে অবস্থান করছেন ঠিক এই সময় কিছু কুচক্রী মহলের ইন্দনে মামুন মেয়রকে হেয় করতে নামধারী সাংবাদিককে চড়া মূল্য দিয়ে এই রিপোর্ট প্রকাশ করিয়েছেন যা অসত্যই বলে গন্য হবে এমনটাই দাবি পৌরবাসিদের।
১৯৯০ সালে পর রাজনীতির পাশা-পাশি পিতার নামে থাকা জমি বিক্রি করে প্রথমে ঠিকাদারি কাজে যুক্ত হন এবং ত্রিশালে সর্বপ্রথম মৎস্যচাষ শুরু হলে মেয়র আনিছ তখনকার সময় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মৎস্য চাষ করেন এবং ব্যাপক লাভবান হন। সেই থেকে মেয়র আনিছের অর্থ উপার্জন শুরু।
ত্রিশালে মেয়র আনিছ তার ব্যবসায়ী সফলতা, জনপ্রিয়তা ও সত্যতা দেখে দেশের প্রথম সারির আকিজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিস আকিজ সিরামিক কম্পানীর বৃহত্তর ময়মনসিংহে তাকে ডিলার হিসেবে নিয়োগ সহ বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব তুলে দেন। আর এই ডিলারী পেয়ে মেয়র আনিছ ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরসহ আকিজ কোম্পানীর একাধিক শো-রোম করে আকিজ বিভিন্ন পন্য বিভাগে প্রতিটি উপজেলায় বিনিয়োগ করে একটি বিশাল অংকের কমিশন পাচ্ছেন যা শতভাগ হালাল উপার্জন।
আজ এই উপার্জনকে কতিপ্রয় ব্যক্তি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আজ থেকে ২০বছর আগে ত্রিশালের অনেক মানুষের কিছুই ছিল না তাদের অনেক কিছু হয়েছে, বাড়ি গাড়ি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো কারো চোখ পড়েনি। চোখ পড়েছে একজন জনপ্রিয় জননন্দিত ব্যক্তির উপর যা সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নিতে পাচচ্ছেন না। তাই প্রকাশিত নিউজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন।