বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের আয়োজনে রান্না করা খাবার কেড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আ’লীগের নেতা,কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত ০২ রা ডিসেম্বর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কাহালগাঁও বাজার এলাকায় ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের আয়োজনে রান্না করা খাবার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। স্হানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৭, ৮,৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী বৈঠা হাতে নিয়ে এসে কাঁচা কাইল্লার দোকানে এসে হামলা করে এবং দোকানে বসে থাকা যুবলীগ আহবায়ক সানোয়ার জাহান সুমন ও ছুটিতে থাকা একজন সেনা সদস্যকে মারতে উদ্ধত হন আ’লীগ নেতারা। একপর্যায়ে দোকানের দরজা ভেঙ্গে ফেলেন এবং একটি ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্র নষ্ট করে ফেলেন। এরপর তারা পাশের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছাত্রদের জন্য রান্না করা খাবার বেন গাড়িতে করে নিয়ে যান।
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদের জন্য রান্না করা খাবার আ’লীগ নেতাদের কেড়ে নিয়ে যাওয়া এবং খেয়ে ফেলার ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন স্হানীয় সচেতন মহল। সচেতন মহল তাদের এহেন কর্মকান্ড দেখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য তনয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সাথে মেলাতে পারছেন না বলে জানান তারা। সচেতন মহল মনে করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শে রাজনীতি করলে কেউ কারো মুখের খাবার কেড়ে নিতে পারেনা। বরং নিজের খাবার মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিবে। যদি তাই হয় তাহলে এরা কার আদর্শে রাজনীতি করেন? এরা কি প্রকৃত অর্থে আ’লীগ করেন? সুশীল সমাজ মনে করেন এরা আসলে আওয়ামী লীগের কেউ নন। এরা সময়ের অতিথি মাত্র।
এছাড়াও এদেরকে বলা যায় স্বার্থবাদী লীগ। যারা নিজ স্বার্থে মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলে, যারা মানুষের দোকানে গিয়ে হামলা করে, যারা প্রকাশ্যে মানুষকে মারার ঘোষণা দেন, যারা খাবার ছিনিয়ে আনতে বৈঠা ব্যবহার করেন এবং ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করেন ও ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের মাঝে আ’লীগ সমন্ধে নেগেটিভ ভাবনার সৃষ্টি করেন তারা কখনো প্রকৃত এবং বঙ্গবন্ধুর আ’লীগের কেউ হতে পারে না। কেননা জাতির পিতার জীবনাদর্শে কোথাও ভোগের রাজনীতি পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি ত্যাগের রাজনীতি করে গেছেন সারা জীবন। তার রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়টা জেলে কাটিয়েছেন মানুষের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে। আর বর্তমান সময়ে হাতে গোনা কিছু নেতাকে দেখা যায় নিজ স্বার্থ সিদ্ধ করতে মরিয়া। যেখানে প্রধান মন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান হচ্ছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, সেখানে আ’লীগ নেতারা ছাত্রদের রান্না খাবার কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলাটা কার আদর্শের রাজনীতি? যার খেসারত দিতে হয় আ’লীগকে। ফুলবাড়িয়া উপজেলায় সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি এর জলন্ত প্রমান হতে পারে।সচেতন মহল মনে করেন বাংলাদেশ আ’লীগ হাইকমান্ড থেকে তৃনমুলের নেতা কর্মীদের দিকে নজর দেওয়া উচিত আর এই তৃনমুলের কারণেই এত উন্নয়নের বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।