জেনারেল খালেদ মোশাররফ। মুক্তিযুদ্ধের সফল এক সেক্টর কমান্ডার। তার নামেই গড়ে উঠেছিল ‘কে’ ফোর্স। গেরিলা যুদ্ধের গুরুও বলা হয় তাকে।
৭৫’ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনদিন পর জাসদের সিপাহী বিপ্লবের কারণে ব্যর্থ হন। অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে খালেদ মোশাররফ কর্নেল নাজমুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এটিএম হায়দারকে সাথে নিয়ে আশ্রয় নেন শেরে বাংলা নগরের ১০ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে। ক্ষমতা দখলকারীদের সমর্থক কতিপয় সেনাসদস্য ৭ নভেম্বর ভোরে হত্যা করে এ তিনজনকে।
এরপর কেটেছে ৪৩ বছর। কিন্তু সেদিন কারা হত্যা করেছিলেন সেই রহস্য উন্মোচন হয়নি আজও। তবে খালেদ মোশারফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদের দাবি, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই রচনা হয়েছিল ১৫ আগস্ট পরবর্তী আরেকটি অন্ধকার অধ্যায়।
১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, ৩ নভেম্বর চারনেতাকে হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু মামলা বা তদন্ত হয়নি ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ডের। এরইমধ্যে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন খালেদ মোশারফের পরিবার।
খালেদ মোশাররফসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশ গড়তে চেয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরে হলেও সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পালা শুরু হয়েছে।