ত্রিশালে বিরল রোগাক্রান্ত সালমানের পরিবারকে ঘর প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা গ্রামের বাসিন্দা বিরল রোগাক্রান্ত ছয় বছর বয়সী শিশু সালমানকে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন দৈনিক আমাদের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেকের সভাপতি সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক । চিকিৎসার পর শিশু সালমানের দাবির প্রেক্ষিতে তার এবং পরিবারের মাথাগোজার ঠাই হিসাবে সাংবাদিক রফিক নির্মাণ করে দিয়েছেন একটি ঘরসহ ঘরের অনুসঙ্গ । এজন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা । আজ (১ অক্টোবর) শুক্রবার ঘরটি উদ্বোধন করা হয় । ময়নসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশনায় উদ্বোধন করেন, ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এরআগে উপরোক্ত কর্মকর্তাগণ ঘর নির্মাণে আর্থিকভাবে সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন ।

শিশুটির চিকিৎসা শেষে দাবি ও চাওয়ার প্রেক্ষিতে একটি বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়ে দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক ।
সামান্য রোজগারে ছেলে মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতেন সালমানের পিতা। এরই মাঝে সালমান বিরল রোগে আক্রান্ত হলে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক । ২০২০ সালে সালমানকে নিয়ে ফেসবুকে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করেন ।

ময়মনসিংহ জেলা আ,লীগের নেতা নবী নেওয়াজ সরকার বলেন, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো প্রকৃত মানুষের কাজ । পরিবারটি অত্যন্ত গরিব। সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক এগিয়ে না এলে চিকিৎসা ও বাসস্থান আজ হয়তো হত না।

ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, মানবিকতার তাগিদ থেকেই এগিয়ে এসেছেন সাংবাদিক রফিক । এই সময়ে এ রকম মানবিক মুখ সমাজের কাছে একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তো বটেই। ওসি মাইন উদ্দিন বলেন, সাংবাদিক রফিকের মত আমাদেরও মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত।

ওসি বলেন, আমরা সচেষ্ট হই, যেন আল্লার বান্দা হিসেবে দলমতের ঊর্ধ্বে সব মানুষকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে পারি, শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে পারি! বিপদে-আপদে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিই এবং কোনো মানুষকে অবহেলা বা অবজ্ঞা না করি । সাংবাদিক রফিকের মত সকলেই যেন হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা, জনসেবা ও সহানুভূতিতে এগিয়ে আসতে সমর্থ হই।

শিশু সালমানের পরিবারকে দেয়া ঘর নির্মাণে আর্থিক ও বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করেছেন, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ,ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম,ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার নেতা নবী নেওয়াজ সরকার, ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ এ বি এম আনিছুজ্জামান আনিছ, ত্রিশাল আওয়ামীলীগের নেতা ইকবাল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি জুয়েল সরকার, স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহীম খলিল নয়ন, ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ, নেত্রকোনা জেলা যুবলীগ নেতা মাজাহারুল ইসলাম অরুন, ত্রিশাল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক কামাল হোসেন, অস্ট্রিয়া প্রবাসী রানা বখতির ও তার কিছু বন্ধু, সাখুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. এমএ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক কবীর সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ইয়াহিয়া, গন্ডখোলা গ্রামের সমাজ সেবক ফরিদ আহমেদ শ্যামল, ময়মনসিংহের নিউ মেডিকেয়ার প্যাথ: ল্যাবের মালিক ও ময়মনসিংহ সিটির ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ শাহ- জালাল হৃদয়, সাংবাদিক সুমন ভট্রাচার্য্য, দৈনিক আমাদের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক মিয়াজী সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদের (বনেক) নেতৃবৃন্দ,দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন প্রকাশক ও সম্পাদক ড. ইদ্রিস খান প্রমুখ ।

দৈনিক আমাদের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক বলেন, আমার জীবনটাও লড়াই করে কেটেছে। তাই একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি । হত দরিদ্র এবং অসহায় মানুষরা যেন একটু ভাল থাকতে পারেন সেজন্য তাদের পাশে থেকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করি । খায়রুল আলম রফিক সমাজের বিত্তবানদের সবাইকে আহ্বান জানান, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য । তিনি বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় আমি সারাজীবন লড়াই করেছি। যেকোন পরিস্থিতিতে আমি হাল ছাড়িনি। লড়েছি এবং জিতেছি। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে। জয় আমাদের হবেই ইনশাল্লাহ ।