ময়মনসিংহে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র, ০২ বছর পর কিউবা থেকে ম্যাসেজ

খায়রুল আলম রফিক : ময়মনসিংহ শহরের নিজ বাসা থেকে ২০১৯ সালের ২৫ জুন ময়মনসিংহ নটর ডেম কলেজের উদ্দেশ্যে বের হয় এইচএসসি পড়ুয়া ২য় বর্ষের ছাত্র সাফায়াত আল হোসাইন। এর পর কেটে গেছে ০২টি বছর কোন খোজঁ মেলেনি। হঠাৎ এক খবরে আশার আলো দেখছে তার পরিবার। সাফায়াত জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধলা বাজারের বাসিন্দা ঠিকাদার আফজাল খান রিপনের পুত্র ।

২০১৯ সালের ২৫ জুন  রাতে সাফায়াতের বাবা আফজাল খান ময়মনসিংহ কোতয়ালী মডেল থানায় তার পুত্র সাফায়াত আল হোসাইন নিখোঁজ মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিখোঁজ হওয়া ঘটনার তদন্ত ভার আসে  ডিবি পুলিশের এলআইসি শাখার এসআই পরিমল দাসের কাছে।তিনি জিডির সূত্র ধরে কিশোরগঞ্জ থেকে সাফায়াতের ব্যবহৃত মোবাইলসহ এক যুবককে আটক করে। কিন্তু  দেড় বছর অতিক্রম হলেও সাফায়াত আল হোসাইনকে উদ্ধার করতে পারেনি ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। তাই পরে মামলাটি কাইন্টার টেররিজম পুলিশের কাছে হস্তান্তর হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছেন।

এদিকে সাফায়াত আল হোসাইন নিখোঁজের পরদিন ত্রিশালের ধলা বাজারে সাফায়াতের সহপাঠী, স্থানীয় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। কিন্তু কালে কালে আধুনিক সমাজের  অনেকের দাবি , সাফায়াত আল হোসাইন নিখোঁজ নয়। সে কিউবাতে বসবাস করেন। সেখান থেকে হুন্ডির মাধ্যমে অথবা অন্য উপায়ে তার পিতা ও পরিবারের কাছে টাকা পয়ঁসা পাঠায়।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, সাফায়াতের পাঠানো টাকায় তার বাবা নিজ এলাকায় ০২টি বহুতল ভবন নির্মাণ, ময়মনসিংহ শহরে জমিক্রয় ছাড়াও নিজ এলাকায় কমপক্ষে ০৬ একর জমি ক্রয় করেছেন।

এব্যাপারে সাফায়াতের পিতা আফজাল খান রিপন মোবাইলে জানান, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আমার ছেলে সাফায়াত আল হোসাইন নিয়মিত যোগাযোগ করে। সে জানিয়েছে কিউবাতে থাকে। ম্যাসেঞ্জারের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি ও ম্যাসেঞ্জারের লেখাগুলিও পুলিশকে দিয়েছি। আমি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছি । আসামী করেছি একজনকে । সে কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।

আমার ছেলের মোবাইল পুলিশ তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। আমার ছেলে জীবিত আছে, বাবা হিসাবে আমার ধারনা হচ্ছে। পুলিশের সকল ইউনিটে আমি যোগাযোগ করেছি। কেউ আমার ছেলের সন্ধান দিতে পারেনি। পুলিশ বলেছে আমার ছেলে বর্ডার এলাকায় আছে।

কিউবাতে কিভাবে থাকে প্রশ্ন করা হলে আফজাল খান জানান, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি । সত্য কিনা জানি না। পুলিশ তদন্ত করছে,পরে জানা যাবে।