খায়রুল আলম রফিক: বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোর মধ্যে ত্রিশাল পৌরসভা অন্যতম। আর আমি এ পৌরসভায় টানা তিনবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছি।
মানুষ আমাকে সবসময় কাছে পেয়েছেন, তাই এবারও আমার হাতেই তারা এ পৌরবাসীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। আমি নিজেকে পৌরপিতা নয়, জনগণের একজন সেবক মনে করি।
আমার কাছে অর্থ বিত্তের চেয়ে মানুষের ভালবাসা বেশি দামি। আর সেই ভালবাসার তাগিদে মানুষ আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন।
সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমন কথাই বললেন পৌর মেয়র আলহাজ আনিছুজ্জামান আনিছ।
গত ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত ত্রিশাল পৌরসভায় বিপুল ভোটে তৃতীয়বারের মত মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
- পাঠকদের সুবিধার জন্য তার সঙ্গে কথোপকথনের উল্লেখযোগ্য অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো।
মেয়র হিসেবে আগামী পাঁচ বছর পৌরবাসীর জন্য কি ধরনের উন্নয়ন করতে চান ?
আনিছুজ্জামান আনিছ: গত ১০বছর ধরে পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। এ সময় পৌরসভার সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেনেজের ব্যবস্থা করেছি।
পৌর সভার এলাকায় চারপাশ সংরক্ষণসহ সেখানে সৌন্দর্য বর্ধন করেছি। পৌর কবরস্থানে নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদ নির্মাণ করে দিয়েছি।
হারানো খাল খনন ও অবশিষ্ট রাস্তাগুলো পাকা করণসহ অবকাঠামোমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো। ত্রিশাল শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ বাসযোগ্য শহর গড়ে তোলার ইচ্ছা রয়েছে।
- ত্রিশাল পৌর এলাকা মাদকমুক্ত করতে আপনি কি ভূমিকা রেখেছেন ?
আনিছুজ্জামান আনিছ : ত্রিশাল পৌরসভা মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে সব ওয়ার্ডে আমি সভা করেছি। প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। মাদকমুক্ত পৌরসভা গড়তে আমি সবসময় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছি।